
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আলোচনায় হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি ‘বিকৃত’ করার অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ অভিযোগ করেন। খবর আনাদোলুর।
এর আগে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায় যে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে এবং সামরিক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একমত হয়েছে যে, তারা রাশিয়ার কৃষি ও সার রপ্তানি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে এবং উভয় দেশই পরস্পরের জ্বালানি স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা নিষিদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেবে।
মস্কোর বক্তব্য
ক্রেমলিন এই চুক্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে এও জানিয়েছে যে, কিছু নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পরই এটি কার্যকর হবে।
এক বিবৃতিতে মস্কো জানায়, ‘রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হয়েছে যে, ৩০ দিনের জন্য জ্বালানি স্থাপনায় হামলা নিষিদ্ধ থাকবে। যা চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে কার্যকর বলে ধরা হবে। তবে যেকোনো পক্ষের অনিয়ম দেখা দিলে চুক্তি প্রত্যাহার করা যেতে পারে’।
জেলেনস্কির অভিযোগ
এদিকে ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, আমরা দেখছি আলোচনার দিনেই রাশিয়ানরা চুক্তিগুলোকে বিকৃত করা শুরু করেছে। তারা আমাদের মধ্যস্থতাকারীদের এবং পুরো বিশ্বকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে’।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে সবকিছু পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু ক্রেমলিন আবারও মিথ্যা বলছে যে, কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতি নাকি নিষেধাজ্ঞার ওপর নির্ভর করছে। আর জ্বালানি স্থাপনা নিয়ে ‘নীরবতা’ নাকি গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে’।
জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘রাশিয়ানরা যদি আবার হামলা চালায়, তাহলে তারা কঠিন জবাব পাবে’।
তিনি এ সময় দাবি করে বলেন, রাশিয়ার বর্তমান আচরণ যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে এবং যদি চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তাহলে মস্কোর বিরুদ্ধে আরও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
তার ভাষায়, ‘রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ অনেক কিছু প্রকাশ করবে…আমরা ওদের বিশ্বাস করি না, বিশ্বও রাশিয়াকে বিশ্বাস করে না’।
এদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো জেলেনস্কির এই অভিযোগের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।