Image description
 

সুনামগঞ্জে মহান স্বাধীনতা দিবসে সুনামগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত শহরের ডিএস রোডের পুরাতন শহিদ মিনারের তালা ভেঙে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা যাননি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর নির্ধারিত স্মৃতিস্তম্ভে।

 

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুরাতন শহিদ মিনারে গিয়ে গেটে তালা দেওয়া দেখে ক্ষুব্ধ হন তারা। পরে তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

 

 

বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। তবে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানালেন- স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল, তাই পুরাতন শহিদ মিনারটি বন্ধ রাখা হয়।

 

মহান স্বাধীনতা দিবসে জেলার পুরাতন শহিদ মিনার প্রশাসন কর্তৃক তালাবন্ধ করে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

 

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট সংলগ্ন ডিএস রোডে এই শহিদ মিনারটি স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

 

স্থানীয়রা জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে মহান স্বাধীন ও বিজয় দিবসে একাত্তরের শহিদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের আয়োজন করে আসছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি ডিএস রোডের পুরাতন শহিদ মিনারের শ্রদ্ধা জানান কেউ কেউ। কিন্তু এবার শহিদ মিনারটি সম্পূর্ণরূপে তালাবন্ধ করে রাখে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তালা ভেঙে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা বাধ্য হয়ে তালা ভেঙ্গে শহিদ মিনারে প্রবেশ করে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এই শহীদ মিনারটি আমরা নিজ হাতে নির্মাণ করেছি। এর সঙ্গে আমাদের আবেগ অনুভূতি জড়িত।

 

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরুল মোমেন বলেন, ফুল দিতে গিয়ে দেখি শহিদ মিনারের গেটে তালা দেওয়া। স্বাধীনতা দিবসে শহিদ মিনার তালা দেওয়া এটি মেনে নেওয়া যায় না। তাই মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হয়ে তালা ভেঙ্গে শহিদ মিনারে প্রবেশ করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শুনেছি অনেকেই শহিদ মিনারে ফুল দিতে এসে গেটে তালা দেয়া দেখে ফিরে গেছেন।

 

সুনামগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম বললেন, শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। আর স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ছিল স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেওয়া হবে, তাই পুরাতন শহিদ মিনার বন্ধ রাখা হয়।