
Sadiqur Rahman Khan(সাদিকুর রহমান খান)
সার্জিসের পোস্ট স্ট্র্যাটেজিক ড্যামেজ কন্ট্রোল মনে হলো আমার কাছে।
সে কিন্তু হাসনাতের একটা কথাও ডিনাই করতে পারে নাই। ঠিক ঐ নেত্র নিউজের মতোই।
ইভেন চিফ যে "ইউ পিপল নো নাথিং" বলেছিলেন, এটাও সে স্বীকার করে নিয়েছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আর আসিফ মাহমুদের স্ট্যান্ড ছিলো ভোকাল। সার্জিস সেইটারে সফট করলো। খুব সম্ভবত নাগরিক পার্টি আর্মির সাথে কোন ঝামেলায় যাইতে চাইতেছে না এই মুহূর্তে।
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর সামনে রেখে এই ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়তো দরকার ছিলো।
বাট আওয়ামীলীগ ফেরানোর প্রশ্নে হাসনাত আর আসিফ মাহমুদের বোল্ড অবস্থান আমরা মনে রাখবো।
বাংলাদেশে আর কোনদিন কেউ এতো বড় সাহস করতে পারে নাই। এখন যতই বিবৃতি আসুক, যতই যা আসুক, আওয়ামীলীগ ফেরানোর চেষ্টা যে হয়েছিলো, এইটা সত্য।
সার্জিসের পোস্ট অনেকটা সিনিয়র ভাই র্যাগ দেওয়ার পর ভাই "রাগ করে কিছু বলে নাই, আদর করে বলেছে টাইপ ব্যাপার।
এতে করে যদি পারস্পরিক অবিশ্বাস দূর হয়, তবে হোক। আমি কোন সমস্যা দেখি না। ব্যাচের কাউকে না কাউকৃ ঝামেলা মেটানোর জন্য এই রোল প্লে করাই লাগে।
বাট তাতে হাসনাত আর আসিফের সাহস মিথ্যা হয়ে যায়না।
হাসনাত আর আসিফ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বার সেট করেছে।
গত তিনদিন ধরে ডিপ স্টেট যে লেভেলের নাকানি চুবানি খেয়েছে, এটা অবিশ্বাস্য। বাংলাদেশের ইতিহাসেই এরা এই লেভেলের ব্লান্ডারের মুখোমুখি কোনদিন হয় নাই।
এরপর আবারও আওয়ামীলীগ ফেরানো বা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টার আগে ওরা তিনবার ভাববে। এইটা নিশ্চিত।
হয়তো সার্জিসের পোস্টের পর হাসনাত আর আসিফও চুপ করে যাবেন।
বাট আওয়ামীলীগ ফেরানোর চেষ্টা এই দুইজন মানুষ জীবন আর ক্যারিয়ারের ঝুকি নিয়ে রুখে দিয়েছিলেন, এই কথাটা আমরা কোনদিন ভুলবো না।