
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী চালু হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ের শ্রেণিগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ওই স্কুলগুলোর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে যে ৭২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির চালু ছিল। সেগুলোর ওই তিন শ্রেণির পাঠদান আগামী বছর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় মনোযোগ দিতে চাচ্ছি। তাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাই চালু থাকবে।’
কবে থেকে সিদ্ধান্ত, সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব প্রাইমারি স্কুলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি চালু ছিল, সেসবের ওই তিন শ্রেণির পাঠদান বন্ধ করা ও নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি না করার বিষয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ওই স্কুলগুলোর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে আগামী শিক্ষাবর্ষে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি না করতে বলা হয়েছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি চালু আছে। গত ১২ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই স্কুলগুলোর নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে আদেশ জারি করেছে। ওই শ্রেণিগুলোয় শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ২০১০ সালে করা সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি ও মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত করার কথা বলা হয়েছে।২০১৩ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি চালুর অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়।
২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল। যদিও সে উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের মে মাসে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করে তা অবৈতনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।