
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়া ৯৬টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশনের একটি কমিটি। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে ওইসব পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হবে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে তিনি ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি. ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনাবিষয়ক কমিটির সভা করেন। মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এ কমিটির আহ্বায়ক।
দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য একটি খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করেছি। কিছু কিছু পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হবেই। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে বিদ্যমান সব সংস্থারই নিবন্ধন বাতিল হবে।রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে অবস্থান জানতে চাইলে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, উচ্চ আদালতে একটি রিট হয়েছে। আদেশের কপি পাওয়ার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। আমরা আশা করছি, আগামী সপ্তাহে আদেশের কপি পাব। তখন এ বিষয়ে ইসি পদক্ষেপ নেবে। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে কিছু বলতে পারছি না।জাতীয় সংসদের ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালার বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে ভোটকেন্দ্রের নীতিমালার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছি। জাতীয় সংসদের আসনের সীমানা নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে আপডেট কোনো তথ্য নেই।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন বিষয়ে অনেকেই তো বিতর্কিত। নির্বাচনসংশি্লষ্ট যারা ছিলেন নিঃসন্দেহে বিতর্কিত। ভবিষ্যতে যাতে বিতর্কের সৃষ্টি না হয়, অস্বচ্ছতা যেন না হয়, সেজন্য আমরা সর্বতোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ বিতর্কের সৃষ্টি হবে না। তিনি বলেন, যারা বিতর্কিত ছিলেন তাদের বিষয়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তাদের তো চাকরি চলে গেছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হোক বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হোক, সরকারও নিচ্ছে, কমিশনও নিচ্ছে। ভবিষ্যতে হবে না এমনটাই মনে করি। একটা সুন্দর, স্বচ্ছ নির্বাচন এবং নজিরবিহীন সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন তা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।