Image description

সম্প্রতি রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার সময় তাকে উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, খিলক্ষেত এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনির শিকার কিশোরের মৃত্যুর দাবিটি সত্য নয়। কিশোরটি বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে আজ ১৯ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ছয় বছর বয়সী এক মেয়েশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক কিশোরকে বিক্ষুব্ধ জনতা গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ বলেছে, কিশোরের বয়স আনুমানিক ১৬ বছর। তবে পরিবারের দাবি, তার বয়স ১১ বছর এবং সে স্যানিটারি সামগ্রী বিক্রির একটি দোকানে কাজ করে। অপরদিকে, ওই মেয়েশিশুকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিডিনিউজ২৪-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার ছয় বছরের শিশুটির শরীরে ‘ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে’ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রকিবুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, গণপিটুনির পর কিশোরকে মৃত ভেবে ফেলে গেলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি জানান, গণপিটুনিতে কিশোর গুরুতর আহত হলেও এখন পর্যন্ত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার শিশির কুমার ঘোষও রিউমর স্ক্যানারকে একই তথ্য নিশ্চিত করেন।

সুতরাং, খিলক্ষেত এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনির শিকার কিশোরের মৃত্যুর দাবিটি মিথ্যা।