
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে এড়িয়ে গেছেন।গতকাল সোমবার স্থানীয় সময়ে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে বিষয়টিকে কূটনৈতিক আলোচনার অংশ বলে উল্লেখ করেন।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন তোলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এখন নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েছে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায় ৬০ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন কী? তিনি এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?"
এ প্রশ্নের জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘আপনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা বলছেন, যিনি অন্য দেশের ঘটনাবলি কীভাবে দেখেন তা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এই বিষয়ে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন। কূটনৈতিক আলোচনা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে কথোপকথনের বিষয়ে আমি কোনো পূর্বানুমান করতে চাই না। এ ধরনের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
সাংবাদিক পুনরায় একই প্রশ্ন উত্থাপন করতে চাইলে, ব্রুস তাকে বাধা দিয়ে বলেন, ‘সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে কূটনৈতিক আলোচনা বা কোনো নির্দিষ্ট দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি সম্পর্কে সরাসরি মন্তব্য করা আমার কাজ নয়। আমি কোনো পূর্বানুমানও করতে চাই না।’
এই প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট হয়ে যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে সরাসরি কোনো অবস্থান নিতে ইচ্ছুক নয়। পরিবর্তে, তারা বিষয়টিকে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছে। তবে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগের বিষয়টি আবারও সামনে চলে এসেছে।