
২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ১.৬ বিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন করবে ভারতীয় রেলওয়ে। চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের শীর্ষ তিনটি মালবাহী বাহকের মধ্যে একটি হয়ে উঠবে। এমনটাই দাবি করেছেন ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রীর দাবি, ভারতে ট্রেনের ভাড়া উল্লেখযোগ্যভাবে কম- পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের তুলনায় ১০ থেকে ২০গুণ কম।কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী হিসেব দিয়ে বলেছেন, ভারতে প্রতি ৩৫০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য জেনারেল কামরার ভাড়া ১২১ টাকা। একই রাস্তা অতিক্রম করতে পাকিস্তানের মানুষকে ট্রেন ভাড়া দিতে হয় ৪৩৫ টাকা, বাংলাদেশের মানুষ দেন ৩২৩ টাকা এবং শ্রীলঙ্কার মানুষ ট্রেন ভাড়া দেন ৪১৩ টাকা।
পশ্চিমাংশের একাধিক দেশ ভারতের থেকে ১০-২০ শতাংশ বেশি ট্রেন ভাড়া নেয় বলেও দাবি করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। ভর্তুকি ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে, মন্ত্রী বলেছেন যে ভারতে প্রতি কিলোমিটার ট্রেন ভ্রমণের খরচ ১.৩৮ টাকা, তবে যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্র ৭৩ পয়সা চার্জ করা হয়। বাকি পরিমাণ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ৪৭% ভর্তুকি দিয়ে পূরণ করা হয়। তিনি এও জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রেলযাত্রীরা প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি পেয়েছিলেন। পরের অর্থবর্ষে যা বেড়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি হয়েছিল। রেলমন্ত্রীর কথায়, দেশের গরিব মানুষকে আরও বেশি করে পরিষেবা দেওয়াই রেলের লক্ষ্য।
আর তার জন্য ভাড়া কম রাখতেই হবে। পাশাপাশি আগের থেকে জেনারেল কামরাও বাড়ানো হয়েছে বলে অবগত করেছেন তিনি। বলেছেন, বিগত কয়েক বছরে এসি কামরার থেকে আড়াই গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে জেনারেল কামরা। একই সঙ্গে, ১৭ হাজার নন-এসি কামরা তৈরির কাজও চলছে। মন্ত্রী জানান যে ট্রেনের যাত্রীবাহী কোচও এখন মোজাম্বিক, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি করা হচ্ছে। মায়ানমার এবং বাংলাদেশে লোকোমোটিভ রপ্তানি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রেলওয়ের আর্থিক সহায়তা পূর্বের ২৫,০০০ কোটি টাকার তুলনায় বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা করেছেন বলেও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
সূত্র : news18