
Rajib Ahamod (রাজিব আহমোদ)
ওয়াসায় বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়া ১৫০ জনকে নিয়োগের প্রতিবেদনটি ভুল। যাচাই, নিয়মকানুনগুলো খতিয়ে দেখলে রিপোর্টার বুঝতে পারতেন, আউটসোর্সিং নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা হয় না।
তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে কর্মী নেওয়া হয়।
ধরুন, আপনি বাড়ির কাজের জন্য ৫ জন লোক লাগবে। কিন্তু খরচ বাড়বে বলে, স্থায়ী নিয়োগ দেবেন না। আবার ৫ জন লোক সবসময় লাগবে না। কিন্তু স্থায়ী নিয়োগ দিলে, যখন কাজ থাকবে না তখনও বেতন দিতে হবে। আবার পেনশন গ্রাচুয়েটি দিতে হবে। তাই একজনকে বললেন, আমাকে ৫ জন লোক দাও। তোমাকে মাসে ৫০ হাজার টাকা দেবো। আমি আর কিছু জানি না। কে কাজ করবে, কতদিন করবে, তা তোমার ব্যাপার।
সাংবাদিকরা যাচাই ছাড়া রিপোর্ট করছেন, যা ভীষণ উদ্বেগের। সেদিন রিপোর্ট হলো, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভাই ভারতে নাগরিকত্ব নিয়েছে। ফ্যাক্ট চেকে ধরা পড়ল, খবরটি ভুয়া। সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার অ্যাপে যাচাই করলে, এ ভুয়া খবর হতো না। সোর্স যা দিচ্ছে, যাচাই ছাড়া তা ছাপিয়ে দেওয়া, প্রকাশ করা সাংবাদিকতা নয়।
ওয়াসায় বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগের খবরটিতে, কে, কোথায়, কোন পদে, কবে, কীভাবে নিয়োগ পেয়েছে এসব প্রশ্নের জবাব নেই। একটি তালিকা দেখিয়েছে, যাতে কিছু নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রত্যাশিত পদ এবং রেফেরেন্সের নাম রয়েছে। আর ওয়াসা সচিবের বক্তব্য রয়েছে।
পরে খবর নিয়ে জানলাম, লোক সাপ্লাই করা ঠিকাদার বিভিন্নজনের রেফারেন্সে লোক দিয়েছে। যা অপরাধ নয়। ঠিকাদার কীভাবে, কাকে সাপ্লাই দেবে, তা তার ব্যাপার।
সরকারি স্থায়ী ও অস্থায়ী, প্রকল্প নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। দৈনিক মজুরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তবে কাজ নাই মজুরি নাই আর আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা হয় না।
রিপোর্টার ভুল করছে ঠিক আছে। কিন্তু উপদেষ্টা হতে না পারায় ক্ষুব্ধ একজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব খবরটি ফেসবুকে দিয়ে লিখছেন, এখনো পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগের দুর্নীতি চলছে। যখন বললাম, এটা তো আউটসোর্সিং। জেনেও কেনো মিথ্যা ছড়াচ্ছেন? ব্লক মারলেন মাইরি।