Image description
 

একদশক আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের করেরগাঁও এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে আরশাদ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

 

সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

 

রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।

 

রায়ে পর্যোবেক্ষণে আদালত আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেয়া হয়।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রায় ঘোষণার জন্য সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত আরশাদ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও গ্রামের আব্বাসের ছেলে। এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনায় আসামি কোনো অনুকম্পা পাওয়া অধিকার নেই জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই কৌঁসুলি।

 

মামলায় অভিযোগ, ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি আরশাদ ওই শিশুকে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে সিগারেট ও শ্যাম্পু আনতে বলেন। তার কথা মতো সিগারেট ও শ্যাম্পু নিয়ে আসে শিশুটি। পরে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন করেরগাঁওয়ের এক বাড়ির ফাঁকা ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়। বাড়ি ফিরে শিশুটি তার মাকে ঘটনাটি জানালে তাকে প্রথমে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষণের ঘটনার তিনদিন পর ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা। একই বছরের ১৬ নভেম্বর আরশাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।