সোনারগাঁওয়ে এক দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট নয়াগাঁওয়ের ধনু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ব্যবসায়ী রূপালী জানান, গতকাল রবিবার রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে তিনি নিজ বাড়ির সামনে নিজের দোকানে বসে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । এ সময় মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ড এলাকার পরিবহন ডাকাত সোহান ও তার সহযোগি কায়েসের নেতৃত্বে দুটি সিএনজি এবং একটি মোটরসাইকেল দিয়ে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত দল এসে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের গ্লাস ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ডাকাত দল দোকানের ভিতর প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় আমার চিৎকারে দোকানের পাশে বাসা থেকে আমার মেয়ে এগিয়ে আসলে ডাকাত সোহান তার মেয়েকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখালে মেয়ে ভয়ে দৌড়ে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় তার মেয়ের নিরাপত্তায় আতঙ্কিত হয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে শশুর ধনু মিয়া এগিয়ে আসলে ডাকাতরা ধনুর ওপর মটরসাইকেল তুলে দিয়ে মারাত্মকভাবে তাকে আহত করে মোটরসাইকেল ফেলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। আহত ধনু মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ সময় আশপাশের লোকজন খবর পেয়ে এগিয়ে আসতে থাকলে ডাকাতরা তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
সোনারগাঁ থানার পুলিশের (উপ-পরিদর্শক) আব্দুল জলিল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। এবং লণ্ঠিত মালামালের তালিকা করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগী জানায়।
ডাকাতি কবলিত ভুক্তভোগী রুপালি ও এলাকাবাসী জানান, সঙ্গবদ্ধ ডাকাতদের মধ্যে দুইজনকে মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় থেকে গলার কন্ঠ বুঝে তারা চিহ্নিত করেন। তারা হলেন একই এলাকার সোহান ও কায়েস।
এ ব্যাপারে আব্দুল জলিলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি স্যারের সঙ্গে কথা না বলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবেন না।
