
মাগুরায় চাঞ্চল্যকর শিশু আছিয়া ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষক হিটু শেখ।
গত শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে আসামি হিটু শেখ উপস্থিত হয়ে ১৬৪ ধারায় ধর্ষণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
মাগুরা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পুলিশ সুপারের গাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টায় মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় রিমান্ডে থাকা আসামি হিটু শেখকে। বিচারক সব্যসাচী রায় আসামি হিটু শেখকে শিশু আছিয়া খাতুন ধর্ষণে জড়িত কিনা জানতে চাইলে সে মুখ চেপে ধরে আছিয়াকে ধর্ষণের কথা ১৬৪ ধারায় স্বীকার করে। বিজ্ঞ বিচারক তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিখে পুনরায় পড়ে শুনালে সে সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করেন।
আদালত থেকে আসামি হিটু শেখকে কড়া পুলিশ পাহারায় প্রথমে মাগুরা কারাগারে, পরে বিকালে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ মামলায় অন্য তিন আসামি সজীব শেখ, রাতুল শেখ ও তার মা জায়েদা খাতুন পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে।
সাত দিন পুলিশ রিমান্ডের চতুর্থ দিনে অন্যতম অভিযুক্ত আসামি ধর্ষক হিটু শেখ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী বোনের বাড়ি বেড়াতে আসে ৮ বছরের শিশু আছিয়া খাতুন। রাতে বোনের শ্বশুর লম্পট হিটু শেখ তাকে ধর্ষণ করে। এতে সে জ্ঞান হারায়। তাকে প্রথমে মাগুরা হাসপাতাল, ফরিদপুর হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল, সর্বশেষ ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। টানা ৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১৩ মার্চ মারা যায় আছিয়া।
ধর্ষণের দুইদিন পরে মাগুরা সদর থানায় মামলা হলেও পুলিশ অভিযুক্ত চার আসামিকে আগেই গ্রেফতার করে। মাগুরাসহ সারা দেশে ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনের ঝড় ওঠে। শিশু আছিয়ার দাফনের পর ধর্ষক হিটু শেখের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। সবার দাবি দ্রুত বিচারকার্য সম্পন্ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার।