
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১০ এপ্রিল। এর আগের দিন ৯ এপ্রিল থেকে সারাদেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে কোনো ধরনের ফটোকপি মেশিন চালু রাখা যাবে না। এ ছাড়াও এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রবিবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার এসব কথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসছে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে দাখিল পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ এবং কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন।
শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ, যার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করাসহ পরীক্ষার সময়ে যে কোনো সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবর্তিত বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। আবহাওয়া ও বর্তমান পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা মোকাবিলা করতে হবে। এছাড়াও অসাধু চক্রের যেকোনো অপতৎপরতার প্রতি নজর রাখতে হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংবেদনশীলতার সঙ্গে আচরণ হবে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য প্রাপ্ত নম্বর নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, প্রশ্নফাঁসের গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলোতে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা শুরু থেকে শেষদিন পর্যন্ত দেশের সর্বত্র সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। আগাম বন্যাপ্রবণ এলাকায় পরীক্ষা গ্রহণে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। এদিকে, সভায় পরীক্ষা চলাকালীন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। গুজব প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক জনসচেতনতার জন্য প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষাবোর্ড থেকে দূরবর্তী কেন্দ্রগুলো থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উত্তরপত্র দ্রুততম সময়ে বোর্ডে পৌঁছানোর জন্য ডাক বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। বোর্ডের নিকটবর্তী কেন্দ্রগুলো থেকে উত্তরপত্র দ্রুততম সময়ে সরাসরি বোর্ড পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।