
পবিত্র মাহে রমজানের বিশেষ ইবাদত হলো তারাবির নামাজ। এই নামাজ প্রতিদিন এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজের পর এবং বিতরের আগে আদায় করা হয়।
২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ, গুরুত্বের দিক থেকে ওয়াজিবের কাছাকাছি। ওজর বা অপারগতা ছাড়া তারাবির নামাজ পরিত্যাগ করা উচিত নয়।
তারাবির দ্বিতীয় রাকাতে বৈঠক করার পর ভুলে দাঁড়িয়ে গেলে তৃতীয় রাকাতের সিজদা না করা পর্যন্ত স্মরণ আসলে বসে যেতে হবে। আর তৃতীয় রাকাতের সিজদা করার পর স্মরণ এলে বসবে না বরং চার রাকাত পূর্ণ করে শেষ বৈঠকে সিজদায়ে সাহুর মাধ্যমে সালাম ফেরাতে হবে। এতে করে চারও রাকাত তারাবি হিসেবে আদায় হয়ে যাবে।
আর যদি তৃতীয় রাকাতে সিজদায়ে সাহু করে সালাম ফেরায় তাহলে প্রথম দুই রাকাত তারাবি হয়ে যাবে; তৃতীয় রাকাত বৃথা যাবে। তাই তৃতীয় রাকাতে পঠিত আয়াতগুলোকে পরবর্তীতে আবার পড়তে হবে। নতুবা কুরআন খতম হবে না।
তারাবির নামাজ পড়ার নিয়ম:
এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। আর এ নামাজকেই ‘তারাবির নামাজ’ বলা হয়।
তারাবির নামাজ কিভাবে পড়বেন:
দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। আবার দুই রাকাত নামাজ পড়া। এভাবে ৪ রাকাত আদায় করার পর একটু বিশ্রাম নেয়া।
বিশ্রামের সময় তাসবিহ তাহলিল পড়া, দোয়া-দরূদ ও জিকির আজকার করা। তারপর আবার দুই দুই রাকাত করে আলাদা আলাদা নিয়তে তারাবি আদায় করা।