Image description

ভারত কখনোই চায় না তার প্রতিবেশি দেশগুলো শান্তিতে থাকুক। শুধু বাংলাদেশই নয় ভারতের সীমানা ঘেঁষা প্রতিটি দেশের রাজনীতিই নিয়ন্ত্রণ করতে চায় দাদাবাবুরা। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে ৭ মাসেরও বেশি সময় হলো। এর মাঝে ভারত প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার নতুন নতুন ছক কষে যাচ্ছে। ভারতের দালাল মিডিয়াগুলো বরাবরই বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট সব প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে চলেছে। তবে, এবার একটু বাড়াবাড়িই করলো দাদারা। সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে ভারতীয় কিছু মিডিয়া মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বজুড়ে।

 

তবে বসে নেই বাংলাদেশও ভারতীয় দাদাবাবুদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর। বিজ্ঞপ্তিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছে এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস ও ইন্ডিয়া টুডেসহ আরও বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ‘কমান্ড চেইন’ ভেঙে পড়ার শঙ্কা নিয়ে ভিত্তিহীন যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাতে বাংলাদেশের আইএসপিআর এর কোন স্পষ্ট বক্তব্য বা এর পিছনের সূত্র তুলে ধরা হয়নি। তুলে ধরবেই বা কি করে ওরাতো বসেই আছে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে নিয়ে, স্বৈরাচারকে কিভাবে আবারও বাংলাদেশে ফেরানো যায় সেই ভাবনায় যেনো এখন দিন কাটে ভারতের এসব দালাল হলুদ মিডিয়াগুলোর। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিয়ে এসব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা সংবাদ মিথ্যা ও পরিকল্পিত বলে আখ্যা দিয়েছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর। সম্প্রতি এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর বলেছে, এর আগেও এমন মিথ্য বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছিলো ভারতীয় মিডিয়া। তারা আইএসপিআর এর কোন বক্তব্য ছাড়াই এসব মিথ্য তথ্য প্রচার করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা ও বিভ্রান্তি ছড়ায় এমন মিথ্যা বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে মিডিয়াগুলোকে।

 

এসবের পিছনে বিশ্লেষকরা দেখছেন ভারতের নয়া ষড়যন্ত্র। ইন্ডিয়ান ‘র’ কে দমন করার জন্য ড. ইউনূস সরকার সবকিছুই করেছে। ভারত বারবার ব্যর্থ হয়েছে তাদের পোষা বিশেষ এই বাহিনীকে বাংলাদেশে প্রবেশ করানোয়। সেটা করতে না পেরে এখন লেলিয়ে দিয়েছে তাদের দেশের হলুদ মিডিয়াগুলোকে। অন্যদেশের রজনৈতিক বিষয়ে নাক গলানোর স্বভাব ভারতের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে সে দেশের সেনাবাহিনীর বিষয়ে মিথ্য প্রোপাগান্ডা ছড়ানো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনও বটে।