
রাজধানীতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ক্ষেত্রে এখন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি নিতে হবে। বিশেষ করে পানি, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর জন্য রাস্তা কাটার আগে নির্দিষ্ট নিয়ম ও শর্ত মানতে হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। আজ বুধবার ডিএমপি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানায়, যথাযথ অনুমতি ছাড়া কোনো সংস্থা বা ঠিকাদার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে পারবে না। একই সঙ্গে রাস্তা কাটার কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নগরীর বিভিন্ন সেবা সংস্থা ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রায়ই রাস্তা খুঁড়ে বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিসের কাজ করে, যা মেরামত করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। অনেক ক্ষেত্রে বিকল্প রাস্তা না রেখেই খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অংশ কাটা হয়, সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া হয় না, রাস্তার পাশে খননকৃত মাটি ও উপকরণ পড়ে থাকে, যা যান চলাচলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলে যানজট বেড়ে জনদুর্ভোগ তৈরি হয় এবং রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি এ সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনা গুলোর মধ্যে রয়েছে—এখন থেকে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মতি ছাড়া রাস্তা কাটতে পারবে না। এ ছাড়া সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করা যাবে না, বরং রাতে কাজ শেষ করে সকালে রাস্তা চলাচলের উপযোগী রাখতে হবে।
এতে আরও রয়েছে- রাস্তা কাটার আগে ও পরে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কাজ শুরুর আগে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা শেষ করার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। রাস্তা খননের জায়গায় এবং আশপাশের ২০০ মিটারের মধ্যে ট্রাফিক নির্দেশনা ও সিগন্যাল লাইট স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত শ্রমিক নিয়োগ, এবং রাস্তা ব্যবহারের জন্য লোহার শিট প্রস্তুত রাখার মতো বিষয়গুলোও নিশ্চিত করতে হবে।
ডিএমপি আরও বলেছে, কোনো অবস্থাতেই একই রাস্তায় উভয় পাশে একসঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না। সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে এবং পরবর্তী তিন রাতের মধ্যে রাস্তা পুনরায় মেরামত করে চালু করতে হবে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে নগরবাসীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে জানিয়েছে—যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এসব শর্ত ভঙ্গ করে এবং যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।