Image description

ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আজ সোমবার তাঁর নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আনিসুজ্জামান চৌধুরী আনিস চৌধুরী হিসেবে পরিচিত। তিনি দুই যুগের বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিশ্লেষণ এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন’ বিষয়ে অধ্যাপনা করছেন। তাঁর এই অবদানকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে ‘ইমেরিটাস অধ্যাপক’ উপাধি দেওয়া হয়। একজন অধ্যাপকের জীবদ্দশায় তাঁর অসাধারণ নেতৃত্ব, কৃতিত্ব, অর্জন ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের এই ইমেরিটাস অধ্যাপক উপাধি দেওয়া হয়।

পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন পদেও দায়িত্ব পালন করেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। ২৫টির বেশি বই রচনা ও সম্পাদনার পাশাপাশি তাঁর শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধও প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কর্মজীবন নিয়ে দুটি বই ইংরেজিতে সম্পাদনা করেছেন তিনি।

আনিসুজ্জামান চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। সত্তরের দশকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এরপর আশির দশকে কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সম্প্রতি বাংলাদেশে বিভিন্ন সভা সেমিনারে দেখা যাচ্ছিল আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে। সরকারির বিভিন্ন উদ্যোগে পরামর্শ দিচ্ছিলেন তিনি।

আনিস চৌধুরী ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন। তিনি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ড এবং কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবাতেও অধ্যাপনা করেছেন।

তিনি ‘জার্নাল অব দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনোমির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা সম্পাদক (১৯৯৫-২০০৮) ছিলেন। বর্তমানে এর সম্পাদকীয় পরিষদের সহ-সম্পাদক হিসেবে যুক্ত আছেন। এ ছাড়া ইকোনোমিক অ্যান্ড লেবার রিলেশনস রিভিউয়ের সম্পাদকীয় পরিষদেও আছেন তিনি। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি এবং ব্যষ্টিক উন্নয়ন বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা আছে।