Image description

এক লাখ ৫২ হাজার ভোটারের মধ্যে ৮৫.৯% এর ভোটে কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির সম্মেলনে দলটির নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। অর্থাৎ পদত্যাগকারী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। 

রবিবার প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে, লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচনের ভোটাভুটিতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর কার্নি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। কার্নি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও সাবেক গভর্নর।

এক টালমাটাল সময়ে কানাডা যখন নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন কার্নি দেশটির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে থাকা দীর্ঘ দিনের মিত্র, প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে আছে কানাডা। তারপর কার্নিকে দ্রুতই একটি সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

লিবারেল পার্টির ওই ভোটাভুটিতে কার্নি (৫৯) কানাডার সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে পরাজিত করেন। 

নির্বাচিত হয়েই আমেরিকা প্রসঙ্গে কার্নি বলেন, নতুন এলে তো নতুন ধরনের ভাবনা এবং পরিকল্পনা দরকার  হয়। আমরা আরও নির্ভরযোগ্য দেশের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করবো। আমেরিকা তাদের পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করলে কানাডাও পাল্টা চাপাবে, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কার্নি। তিনি বলেন, আমেরিকানরা যতদিন না আমাদের শ্রদ্ধা জানাবে ততদিন পারস্পরিক শুল্ক থাকবে।

রাজনীতিতে বহিরাগত কার্নিই হচ্ছেন কানাডার এ জগতের অভিজ্ঞতাহীন প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি জানিয়েছেন, দুটি জি৭ রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্বপালনের অভিজ্ঞতা থাকা প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনিই ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি।

ট্রুডো নয় বছরেরও বেশি সময় ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। কিন্তু জনসমর্থন হ্রাস পাওয়ায় জানুয়ারিতে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ফলে লিবারেল পার্টিকে দ্রুত নতুন নেতা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে।