Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে টিউটোরিয়াল প্রেজেন্টেশন, মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নিয়ম রয়েছে। তবে অনেক নারী শিক্ষার্থী ধর্মীয় রীতিনীতি কঠোরভাবে পালন করায় এই নিয়ম মানতে চান না। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার পর হিজাব-নিকাব নিয়ে বিড়ম্বনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিয়ম পরিবর্তন চেয়ে ভুক্তভোগী এক নারী শিক্ষার্থী ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাহমিনা আক্তার তামান্না নামে ওই শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের।

এ ঘটনার পরপরই ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাবি প্রশাসন। পরে রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা বিবেচনায় রেখে নারী শিক্ষক/নারী কর্মকর্তা/নারী কর্মচারীদের মাধ্যমে নিকাব ও হিজাব পরিহিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আজ উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ডিনস্ কমিটির এক সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনে নারী সহকারী প্রক্টরের সহযোগিতা নেয়া হবে। পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্টিং বা বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালুর সম্ভাব্যতার বিষয়টি যথাসময়ে যাচাই করা হবে।