Image description

ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বরযাত্রী সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হলো না হবু বর মুন্না গড়কের (২২)। বিয়ে করতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগেই পথিমধ্যে গাড়িতেই হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগান এলাকায়।

বরের সঙ্গে আসা বরযাত্রী অভিনাশ গড় জানান, বুধবার বিকাল ৫টায় জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের রাজকী চা বাগানের গড় লাইনে পাত্রের বাড়ি থেকে ৭০ জন বরযাত্রী নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের নতুন লাইন এলাকার সম্পদ রাজগড়ের মেয়ে সুমি রাজগড়কে বিয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন মুন্না গড়। রাত সাড়ে ৮টায় কনের বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থান কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগানে পৌঁছার পর বরের গাড়িসহ বরযাত্রীদের গাড়িগুলো দাঁড় করানো হয়। সবাই গাড়ি থেকে নেমে কেনাকাটা করেন। এ সময় বর মুন্না সবার সঙ্গে হাসিখুশিভাবে কথাবার্তাও বলেন। প্রায় ২০ মিনিট যাত্রাবিরতির পর যখন সবাই গাড়িতে উঠে বিয়েবাড়ির উদ্দেশে রওনা করবে তখনই হবু বর মুন্না চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে মুন্নাকে স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তার জ্ঞান না ফেরায় তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্নাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এদিকে বরযাত্রীদের বহনকারী গাড়িগুলো মাধবপুর বাজারে বরযাত্রীদের নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুন্নার মৃত্যুর সংবাদ বরযাত্রীদের কাছে পৌঁছলে পৌনে ১২টার দিকে বরযাত্রীরা পাত্রের বাড়ি রাজকী চা বাগানে ফিরে যায়।

 

হবু বরের এমন মৃত্যুর সংবাদ পাত্রখোলা চা বাগানে কনের পিত্রালয়ে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য তৈরি হয়। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন হবু বধূর পিতা-মাতা।

 

মুন্না গড় জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের রাজকী চা বাগানের গড় লাইন এলাকার আসুক গড়ের ছেলে।

 

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সাজেদুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমাদের এখানে আনার পর ছেলেটির পালস, শ্বাস-প্রশ্বাস সব বন্ধ পাই। তারপরও আমরা তাকে আরও শিওর হওয়ার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি।