
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, অভ্যুত্থানে যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন, তাদের রক্তের প্রতি দায়ভার আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের। আমরা যারা রাজনৈতিক সচেতন মানুষ রয়েছি তাদের দায় আমাদের নিতে হবে। তারা যে স্বপ্ন নিয়ে রাস্তায় এসেছিল, তারা কিন্তু রাস্তায় এসেছিল নিজের প্রাপ্তির জন্য নয়। দেশটাকে ভালোবেসে, দেশের ভালোর জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য। এখন দেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের সবাইকে সম্মিলিত ভাবে নিতে হবে।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যলয় মাঠে ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ আব্দুস সামাদের জানাজায় এসব কথা বলেন তিনি।এ সময় তিনি মরহুম সামাদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন বলে জানান এবং জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ভাতা সহায়তার আশ্বাস দেন।হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যে যেই ব্যানারেরই হোক না কেন, যে যেই রাজনৈতিক মতাদর্শেরই হোক না কেন, সবাই কিন্তু দিন শেষে আমারা দেবিদ্বারকে ভালবাসি। সামাদ ভাই দেবিদ্বারের জন্য রাস্তায় নেমে এসেছিল। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাদ ভাইয়েরা যে ধরনের দেবিদ্বারের স্বপ্ন দেখেছে, লালন করেছে, আমাদের সবাইকে সেই ধরনের ফ্যাসিবাদমুক্ত দেবিদ্বার গড়ে তুলতে হবে।এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এফএম তারেক মুন্সি, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহিদ, দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাত খাঁন।
উল্লেখ্য, আব্দুস সামাদ দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের ধামতী উত্তরপাড়া গ্রামের মো. আছমত আলীর ছেলে এবং পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের দিন দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সোমবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টায় মারা যান তিনি।এদিকে জানাজা শেষে সামাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ সময় তিনি আব্দুস সামাদের স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম সঙ্গে কথা বলেন ও পরিবারের খোঁজ খবর নেন। তিনি সামাদের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন।