
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা ভুলে গেলে চলবেনা, এই অভ্যূত্থানে যারা শহিদ হয়েছে, আহত হয়েছে তাদের প্রতি, তাদের রক্তের প্রতি দায়ভার আমরা যারা জীবিত রয়েছি, আমরা যারা বেঁচে রয়েছি, আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের। আমরা যারা রাজনৈতিক সচেতন মানুষ রয়েছি তাদের দায় আমাদের নিতে হবে। তারা যে স্বপ্ন নিয়ে রাস্তায় এসেছিল, তারা কিন্তু রাস্তায় এসেছিল নিজের প্রাপ্তির জন্য না। তারা নিজে কিছু পাবে, পদপদবী পাবে এসবের জন্য না। দেশটাকে ভালবেসে, দেশের ভালর জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য। এখন এটা (দেশ) গড়ার দায়িত্ব আমাদের সবাইকে সম্মিলিত ভাবে নিতে হবে।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যলয় মাঠে ৫ ই আগস্ট গুলিবিদ্ধ আব্দুস সামাদের (৫২) জানাজায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, যে যেই ব্যানারেরই হউক না কেন, যে যেই রাজনৈতিক মতাদর্শেরই হউকনা কেন, সবাই কিন্তু দিন শেষে আমারা দেবিদ্বারকে ভালবাসি। সামাদ ভাই দেবিদ্বারের জন্য দেবিদ্বারকে ধারন করে রাস্তায় নেমে এসেছিল। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাদ ভাইরা যে ধরনের দেবিদ্বারের স্বপ্ন দেখেছে, লালন করেছে, আমাদের সবাইকে সেই ধরনের ফ্যাসিবাদমুক্ত দেবিদ্বার গড়ে তুলতে হবে। এসময় তিনি মরহুম সামাদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন বলে জানান এবং জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ভাতা সহায়তার আশ্বাস দেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এফএম তারেক মুন্সি, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহিদ, দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসনাত খাঁন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, আব্দুস সামাদ দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের ধামতী উত্তরপাড়া গ্রামের মো. আছমত আলীর ছেলে এবং পেশায় একজন ভ্যান চালক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের দিন, দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ৪ মার্চ (মঙ্গলবার) তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টায় মৃত্যু বরণ করেন।
এদিকে জানাজা শেষে সামাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এসময় তিনি আব্দুস সামাদের স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম সাথে কথা বলেন পরিবারের খোঁজ খবর নেন। তিনি সামাদের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন।