Image description
আলোচনা সভায় বক্তারা

প্রতি বছর সারা বিশ্বে জন্মগত ত্রুটির কারণে প্রায় ৩ লাখ শিশু মারা যায়। শিশুমৃত্যু হারের পেছনে শতকরা ২১ শতাংশ দায়ী জন্মগত ত্রুটি। যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত ও সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমেই এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। গতকাল দুপুরে বিশ্ব জন্মগত ত্রুটি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নিউ লাইফ হাসপাতালের চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্মাইল ট্রেন নিউ লাইফ হাসপাতালের ক্লেফট প্রজেক্টের ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. বিজয় কৃষ্ণ দাস। তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতিদিন শতকরা ৩-৪টি শিশু কোনো না কোনো জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। প্রায় ৩ লাখ নবাগত শিশু এ কারণে মারা যায়। জন্মগত ত্রুটির কারণে দেখতে অসুন্দর, চলাফেরায় অসুবিধা, খাওয়াদাওয়ায় অসুবিধা, লেখাপড়ায় অসুবিধা, সামাজিক অবহেলা, অর্থনৈতিকসহ নানা সমস্যা হয়। অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, গর্ভাবস্থায় অপুষ্টি, রোগ, ফলিক অ্যাসিডসহ মায়ের বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব, মদ-তামাক ইত্যাদি বদ অভ্যাস, তেজস্ক্রিয়তা, বাবা বা মায়ের বংশজনিত, নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে ইত্যাদি নানা কারণে জন্মগত ত্রুটি হতে পারে, যদিও অধিকাংশ ত্রুটির কোনো কারণ জানা নেই।

কুসংস্কার দূর করে সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দিয়ে তিনি বলেন, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ, গর্ভাবস্থায় মাছ-মাংস কাটা, কারও অভিশাপ ইত্যাদি কোনো কিছুই জন্মগত ত্রুটির জন্য দায়ী নয়। আমাদের সচেতনতাই জন্মগত ত্রুটি অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর যদি এ ধরনের শিশু জন্ম নেয় তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা নিলে শিশুকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়। জন্মগত ত্রুটিযুক্ত শিশু নিজের বোঝা, পরিবারের বোঝা, অর্থনীতির বোঝা, তথা সমাজ বা রাষ্ট্রের বোঝা। নিউ লাইফ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. ইফতেখার হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু সার্জারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. নজরুল ইসলাম আকাশ, স্মাইল ট্রেন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এ বি এম মোবাশ্বের হোসেন, বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক সমিতির সভাপতি মো. সবুজ আলী, নিউ লাইফ হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. মাহাদী হাসান প্রমুখ।