
রেলের লালমনিরহাট ডিভিশনে গেট ও গেটম্যান নেই এমন লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা এখন ৩৬০টি। ফলে অরক্ষিত হয়ে পড়ছে লেভেল ক্রসিং। বাড়ছে দুর্ঘটনা। লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশনের আওতায় ৫৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ রয়েছে। লেভেল ক্রসিং রয়েছে ১ হাজার ৯৩৯টি। এর মধ্যে গেট ও গেটম্যান রয়েছে ৪১৩টিতে। গেট রয়েছে কিন্তু গেটম্যান নেই এমন লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ১ হাজার ১৬৬টি। গেট ও গেটম্যান কোনোটিই নেই এমন লেভেল ক্রসিং রয়েছে ৩৬০টি। লেভেল ক্রসিংয়ের বেশির ভাগ অরক্ষিত থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। শীত মৌসুমে ও রাতের বেলায় মানুষ বেশি দুর্ঘটনাকবলিত হয়। এ ছাড়া অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে রেলের গতির অনুমান করতে না পেরে অনেকে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিছু সরকারি এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও নিজেদের সুবিধার জন্য যেখানে-সেখানে রেললাইনের ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছেন। এসব রাস্তা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। রেলওয়ে আইনের নিয়মনীতি না মেনে রাতারাতি এসব রাস্তা তৈরি করা হয়।
সূত্র মতে, সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলার আওতায় ৫ জেলায় গত ২০২২ সালে ৯২ জন, ২০২৩ সালে ১০১ জন ও ২০২৪ সালে ৫৮ জন ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। এদিকে, প্রতিদিন রংপুরের কাউনিয়া জংশন থেকে প্রায় ১০টি আন্তনগরসহ ২৮টি রেলচলাচল করে। রংপুর থেকে কাউনিয়া পথেই সড়কে অন্তত ১২টি ক্রসিং এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অনেক স্থানে গেটম্যান নেই, এমন সাইন বোর্ড লাগিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব সারছেন। এ বিষয়ে রংপুর রেলওয়ে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট শংকর গাঙ্গুলী বলেন, লেভেল ক্রসিং সুরক্ষিত করতে কাজ করছে রেল বিভাগ। গেট নির্মাণ ও গেটম্যান নিয়োগ হলে সমস্যা কমে যাবে।