
গত বছরের জুলাই ও আগস্টে আন্দোলন চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি আগামী ৫ মার্চ জাতিসংঘে তুলে ধরা হবে। ওইদিন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক সংস্থাটির মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশনে এ প্রতিবেদনের বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ব্রিফ করবেন।
গতকাল রোববার ঢাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহিংস উপাদানগুলোর পাশাপাশি গত বছরের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত ছিল।
বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত মৃত্যুর তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহতদের ১২-১৩ শতাংশই ছিল শিশু। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশ জানায়, তাদের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়।