Image description

প্রেমের টানে কুমিল্লার ষাটোর্ধ্ব মোতাসিন বিল্লাহ চৌধুরীর কাছে ছুটে এলেন ইউক্রেনের নারী সালো নাদিয়া (৫০)। মোতাসিন নগরের চর্থা বড় পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা। অপরদিকে নাদিয়া চেক প্রজাতন্ত্রে বাস করা ইউক্রেনের নাগরিক। তিনি একজন মনোবিদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঁচ বছরের পরিচয় ও তিন বছরের প্রেমের সম্পর্কের অবশেষে তারা পূর্ণতা দিয়েছেন।

জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন নাদিয়া। ২৫ ফেব্রুয়ারি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে দুজন দাম্পত্যজীবনে আবদ্ধ হন। প্রেমিক মোতাসিন বিল্লাহ চৌধুরী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বিয়ের পর নাদিয়াকে নিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন তিনি। দাম্পত্যজীবনে সুখী হতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারা।

সালো নাদিয়াকে বিয়ে করার আগে মোতাসিন বিল্লাহ অবিবাহিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন। তবে নাদিয়ার আগে বিয়ে হয়েছিল। অনেক আগেই তার বিচ্ছেদ হয়েছে। পরিবারে নাদিয়ার ছোট দুই বোন আছে। তাদের একজন শিক্ষক, অন্যজন চিকিৎসক।

এ বিষয়ে মোতাসিন বিল্লাহ বলেন, সাইকোলজিস্ট নাদিয়ার সঙ্গে ২০১৯ সালে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে মাঝেমধ্যে দু’জনের মেসেঞ্জারে কথা হতো। বছর দুয়েক কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে নাদিয়াকে প্রেম নিবেদন করি। আর তাতেই সম্মতি দেন নাদিয়া। দুজনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন দাম্পত্যজীবনে জড়ানোর। সেই সূত্রে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন নাদিয়া। এরপর তাকে কুমিল্লায় নিয়ে আসি।

তিনি আরও বলেন, সালো নাদিয়া ইউক্রেনের নাগরিক। ১৫ বছর ধরে তিনি চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে বসবাস করছেন। সেখানে মনোবিদ হিসেবে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেন। নাদিয়া ইউক্রেনীয় ও স্প্যানিশ ভাষায় কথা বললেও ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন। মোতাসিন বিল্লাহর সঙ্গে ইংরেজিতেই মনের ভাব আদান-প্রদান করেন তিনি।

স্ত্রী নাদিয়া বাংলায় কথা বলতে পারে কি না জানতে চাইলে মোতাসিন বিল্লাহ বলেন, তিনি ধীরে ধীরে সব শিখিয়ে দেবেন তাকে। এ ব্যাপারে তার আগ্রহ আছে। নাদিয়া খুবই ভালো একজন মানুষ। বাংলাদেশকে খুবই পছন্দ করেন। তবে বাংলাদেশের জলবায়ু ও জনসংখ্যা নিয়ে তার কিছুটা আপত্তি আছে। বাংলাদেশের পোশাক তার প্রিয়। কুমিল্লার রসমালাই খেতে পছন্দ করেন। তবে বাংলাদেশের অতিরিক্ত ঝাল দিয়ে রান্না তার ভালো লাগে না।

মোতাসিন বিল্লাহ বলেন, নাদিয়া কয়েক দিন বাংলাদেশে থাকবেন। এরপর আবার চেক প্রজাতন্ত্রে ফিরে যাবেন। সেখানে যাওয়ার পর তার (মোতাসিন) ভিসার জন্য চেষ্টা করবেন। ভিসা পেলে তিনিও আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবেন। নাদিয়াও বাংলাদেশে যাওয়া-আসার মধ্যে থাকবেন। দাম্পত্যজীবনে সুখী হতে তারা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।