
রমজান উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী ছাত্র সংগঠনগুলো র্যালি ও ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছে। নেতারা দাবি করেছেন, অতীতের কিছু বছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার আয়োজন নিয়ে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল, যা তারা নিন্দা জানিয়েছেন।
শনিবার এক সমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, “রমজান হলো রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এই মাসে ইফতার ও সেহরি আয়োজন নির্বিঘ্ন হওয়া উচিত।”
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক সভাপতি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখা এবং ছাত্রসমাজের মধ্যে ইসলামী চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া।”
তিনি আরও বলেন, পবিত্রতা জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহ পাক সুবহানাল্লাহু তায়ালার, যার অশেষ মেহেরবানীতে মুক্ত বাংলাদেশে আজকে আমরা পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালিতে উপস্থিত হতে পেরেছি। আপনারা জানেন, খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা গত ১৬ বছরে পবিত্র মাহে রমজানে আমাদের যে র্যালিগুলো হয়েছিল, সেই র্যালিগুলোতে হামলা করেছে। আপনারা জানেন, গত বছর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা ইফতার প্রোগ্রামকে নিষিদ্ধ করেছিল।
সাদিক কায়েম বলেন, পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে যে সেমিনার গুলো হয়েছিল, সেখানে রোজাদারদের উপর নেককারজনক হামলা করে। এবং ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে যে গণহারে ইফতার কমিশনগুলো হচ্ছিল, সেখানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং হাসিনার পেটুয়া বাহিনী নির্লজ্জভাবে রোজাদারদের উপর হামলা করেছিল। এবং তারই প্রস্তুতিতে আমরা দেখতে পেয়েছি, রোজাদাররা সারাদেশে ইফতারিতে, সেহরিতে খুনি হাসিনা এবং তার দোসরদেরকে অভিশাপ দিয়েছিল। আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিল এবং সেই দোয়ার বদৌলতে ২০২৪ ছাত্রজনতার অভূত্থানের মাধ্যমে হাসিনা এবং তার দোসররা, এই দেশ থেকে পালিয়ে আজকে ভারতে তারা আশ্রয় নিয়েছে।
আমরা বলতে চাই, এই উপমহাদেশের যে বাংলা অঞ্চলটি আছে, সেটি ইসলামের জন্য একটি উর্বর অঞ্চল। এখানে ইসলাম নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত করবে, তাদেরকে উৎপাটন করা হবে। এই অঞ্চল শাহজালালের, এই অঞ্চল শাহপরাণের, এই অঞ্চল শহীদ তিতুমীরের।
তিনি আরো বলেন, সুতরাং তাদের রক্তের সাথে যারা বেইমানি করতে চাইবে, তাদের পরিণতি খুনি হাসিনার চাইতে খারাপ হবে। রহমত, মাগফিরাত, নাজাতের পবিত্র মাস, আমাদের মাহে রমজান মাস। এই রমজান মাস উপলক্ষে আমাদের সবার জায়গা থেকে আমাদেরকে অনেক বেশি উদার হতে হবে। আমাদেরকে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে হবে।আমাদের সেহরি এবং ইফতারিতে আমাদের পার্শ্ববর্তীরা যারা আছে, তাদের আমাদেরকে অংশীদার হইতে হবে।
আমরা যেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সর্ব পর্যায়ে দায়িত্বশীল এবং জনশক্তিরা আমাদের সর্বস্তরের মানুষদেরকে নিয়ে, সেহরি এবং ইফতারসহ সকল ধরনের ভালো কাজে আমরা যেন প্রতিযোগিতা করি।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=1x7zUQNok9E