![Image description](https://content.bdtoday.net/files/img/202502/8347157d48b36ff83ccec66966fcf976.png)
দলগতভাবে কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে সেই দলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, সে ক্ষেত্রে দরকার রাষ্ট্রের উদ্যোগ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তাজুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন বাহিনী ও যেসব সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, আইন অনুযায়ী ও জাতিসংঘের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিচার সম্ভব জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে বিভিন্ন সংস্থা বা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে করা সম্ভব। যারা বাহিনীর মধ্যে থেকে অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিচারের উপযুক্ত স্থান এই ট্রাইব্যুনাল। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বে নয়।’
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে আদালতে দলিল হিসেবে ব্যবহার করা হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দলগতভাবে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে দলের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ আছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উদ্যোগের প্রয়োজন আছে।’
তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের তদন্তের মিল রয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার সরকারের লোকজনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে জাতিসংঘের প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এটি ট্রাইব্যুনালে বিচারের দলিল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।