গণ অধিকার পরিষদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা বিষয়ক সহ-সম্পাদক পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা গ্রামের বাসিন্দা রবিউল আউয়াল অন্তরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
কলাপাড়া পৌরশহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। এরপর থেকে তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না স্বজনেরা।
কলাপাড়া থানা পুলিশ ৩০ বছর বয়সী এই নেতার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি পায়রা পোর্ট ফোরলেন ও সিক্সলেন সড়কের মাঝ বরাবর রজপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কলাপাড়া-পটুয়াখালী মহাসড়ক থেকে পার্কিং করা অবস্থায় উদ্ধার করেছে। কিছুটা দূর থেকে একটি হেলমেট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। এ ছাড়া অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন।
তুষার আল মামুন জানান, কলাপাড়া পৌর শহরের ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস ‘গ্রাফিক্স ওয়াল’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল অন্তর। এরপর গভীর রাতে থানার কল পেয়ে বিষয়টি তাঁরা জানেন।
অন্তরের বাবা মো. সোলায়মান বলেন, আমার ছেলে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপূরণ আদায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।
ঢাকার সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও কলাপাড়ার লতাচাপলীর বাসিন্দা বনি আমিন সিফাত এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রবিউল আউয়াল অন্তরকে দ্রুত খুঁজে বের করার দাবি জানান তিনি।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম জানান, মোটর সাইকেলটি ওখানে পার্কিং করা দেখে পায়রা পোর্ট ফোরলেন সড়কের নিরাপত্তা কর্মীরা থানায় জানান। পরে পুলিশ গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে। মোটর সাইকেলের সামনে রবিউল আউয়াল অন্তর লেখা রয়েছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
ওসি আরও বলেন, থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক ইউনিট রবিউল ইসলাম অন্তরের সন্ধানে মাঠে নেমেছে। আমরা এই মুহূর্তে মাঠ পর্যায়ে কাজে ব্যস্ত রয়েছি।
