Image description

রিফাতহাসান (Rifat Hasan)

প্রথম আলো মিনিংফুল শিরোনাম দিয়েছে, আর সবাই শুধু ৩২ নম্বর ভাঙার খবর। প্রথম আলোর শিরোনাম, 'হাসিনার বক্তৃতা নিয়ে ক্ষোভ। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ৩২ নম্বরের বাড়ি'। মানে, ছাত্রদের এই হামলার কারণ শেখ হাসিনার বক্তৃতার সম্প্রচার, কোন সাধারণ নুইসেন্স, বা মব না। জ্ঞানীদের কেউ কেউ মব বলছেন যদিও। কিন্তু, আমি ভাবতে বসলাম, এই মবে গতকালকে কোথাও কিছু শূন্য বাড়ির বাইরে কোন মানুষের উপর হামলা হইছে কি? নজরে পড়ল না। মানে, এইটারে স্রেফ মব হিশেবে পড়া দুরূহ হবে। এই কাজে যারা গেলেন, তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার, রাজনৈতিক। ইন্ডিয়া ও শেখ হাসিনাকে স্পষ্ট মেসেজ দেওয়া।
 
তাহলে, এইটা তাদের জন্য রাজনৈতিকভাবে ভাল হল? গতকালকে বলেছিলাম, ভবিষ্যত বলবে। আজকে আর একটু বলি, এই ঘটনার পরে সরকারের অবস্থান ও শক্তি মজবুত হবে বইলাই আমার অনুমান। প্রশাসন ও অন্য জায়গাগুলোতে অসহযোগিতা করতে চাওয়া এজেন্সিগুলো হতাশ হবে। আগের চাইতে আইন শৃঙ্খলার উপরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে কিছুটা। কারণ, ছাত্রদের মাঠের শক্তি কমেছে বইলা যে ধারণা তৈরী হইছিল, তা ভুল প্রমাণিত হল। গতকালকে প্রচুর সাধারণ মানুষ দেখা গেছে।
 
উপদেষ্টা মাহফুজ এই নিয়া সোশাল হেন্ডেলে যা লিখলেন, তা পইড়া অনেকেই এই ভাঙচুরকারীদের প্রতি ভর্ৎসনা দেখছেন। উপদেষ্টা হিশেবে মাহফুজের এই অনুযোগ ও ভর্ৎসনা যথার্থই। কিন্তু আমি দেখছি, মাহফুজ তাদের সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন হবেই, এই কথা আগের চাইতে আরো আত্মবিশ্বাসীভাবে বলছেন গতকাল। গতকালকে ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুলও স্পষ্টভাবে কইলেন, পত্রিকায় দেখলাম।
এইটা পড়তে পারছেন আপনারা?
 
বিএনপির অবস্থাও আগের চাইতে হল বইলাই আমার অনুমান। কারণ, গত কয়েকদিনে বিএনপির সাথে ছাত্রদের একটা বোঝাপড়ার সাইন দেখলাম। তাহল, সংস্কার। আমার এই দেখা ভুল কিনা আমি জানি না। যেমন, সালাউদ্দিন আহমদ প্রথম স্পষ্ট বললেন গতকাল, তারা আওয়ামীলীগ নামে রাজনীতির সুযোগ চায় না। তারেক রহমানও বিচারের ব্যাপারে কঠিন অবস্থান জানালেন গতকাল। ফলে বিএনপির লোকজন ধানমণ্ডির ঘটনায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছে। তারা এই ঘটনার পূর্ণ সাপোর্ট দিল।
 
ফলে, বিএনপি সমর্থকরাও উজ্জীবিত। সামনের দিনগুলোতে আরো অনেক কিছুই হয়ত দেখা যাবে। তারা এমন কি দাবী করছে, এই ভাঙার কর্মসূচি বিএনপিরই, ছাত্রদের না। আসলেই কি বিএনপির ছিল? কেউ কেউ বলছে, ইউটিউবার পিনাকী থেকে এসেছে এই আহ্বান। তাই কি? আমি ফাহাম আবদুস সালামেরও ভাঙার আহ্বান দেখলাম একটা। সেটি হল, টুঙ্গিপাড়া। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকও, দেখলাম, ৩২ না ভাইঙ্গা টুঙ্গিপাড়া ভাঙার কথা বলছে। দ্বিতীয় প্রশ্ন, এই ঘটনার কারণে মাঠে ছাত্রদের যে নতুন ক্ষমতা তৈরী হল, তার ভিত্তিতে এই মুহূর্তেই তাদের কী করা উচিত? অনেকেই বলছেন, এইটা বেশ খারাপ ফলাফল আনবে বাংলাদেশের জন্য। সেই খারাপ ফলাফলগুলো কী কী? মুক্তকণ্ঠে বইলেন আপনারা।