হাতুড়ি শাবলের দেশে বুলডোজার একটা নতুন যন্ত্র তুলনামূলক ভাবে ।
সেই বুলডোজার এখন হয়ে গেল ঐতিহাসিক এক পলিটিকাল উইপন বা হাতিয়ার। এটা কিন্তু ভবিষ্যতেও ফিরে আসবে।
কমিইউনিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য হাতুড়ি - কাস্তে থেকে বুলডোজারে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশী এজিটেটিভ বা বিক্ষুব্ধ পলিটিক্স । এটাও একটা মাইল স্টোন, কমিউনিস্ট পলিটিকের এবং সেই সাথে অনলাইন পলিটিক্সের বা ইউটিউব পলিটিক্সের। এগুলো পলিটিকাল সায়েন্সের বইয়ে ঢুকার মতো এপিসোড ।
কিন্তু বাংলাদেশে বুলডোজারের ব্যবহার কিন্তু এজিটেটিভ বা বিক্ষুব্ধ পলিটিক্স-এ শুরু হয় নি।
পলিটিকাল বুলডোজারের প্রথম ব্যবহার হয় বাংলার মাটিতে বর্ডার এলাকা সাতক্ষীরাতে ২০১৪ সালের দিকে।
তখন অত্যাচারী বা অপ্রেসিভ পলিটিক্সের হাতিয়ার হিসেবে বুলডোজার এসেছিল। হাসিনার হাত ধরে।
জামাত কিংবা বিএনপির কোন নেতার বাড়ি বুলডোজ করে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সাতক্ষীরায়।
এর আগে বাংলাদেশিরা শুধু প্যালেস্টাইনিদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার অত্যাচারের ভিডিও দেখতো।
এবার এভিকশন বা বাড়ি থেকে বেড় করে দেওয়ার পলিটিক্স নিয়ে কথা বলি।
হাসিনাকে তার গণভবনের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল এজিটেশন বা বিক্ষোভের রাজনীতির হাতিয়ার ব্যবহার করে। মানে গণ অভ্যুথানের মাধ্যমে।
কিন্তু এর আগে ২০১০ সালে খালেদা জিয়াকে তার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে জোর করে বেড় করে দেওয়া হয়েছিল অত্যাচার বা অপ্রেশনের রাজনীতির কৌশল ব্যবহার করে।
আজ আপনারা যারা বাড়ি দখলের পরে ছেলেপেলের শেখ হাসিনা ব্রা - নিয়ে নাচার কারণে দু : খিত, সেই আপনারাই চরম আনন্দ পেয়েছিলেন যখন খালেদার ড্রয়ারে সেক্স এর বই ঢুকিয়ে রেখে প্রচার করা হয়েছিল সত্তর বছরের বৃদ্ধ খালেদা বিছানায় শুয়ে শুয়ে চটি পড়েন এই মিশিনফরমেশন জানতে পেরে ।
দেখতেই পারছেন , অপ্রেসিভ কিংবা অত্যাচারীর রাজনৈতিক হাতিয়ার এক সময় ফিরে আসে এজিটেটিভ বা বিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে --- ইতিহাসের কোন মহেন্দ্রক্ষনে --- অত্যাচারীর উপরেই।
অত্যাচারের কনসিকুয়েন্স এটাই।
একারণে অত্যাচার করতে নেই।