এবার ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় উত্তেজিত হয়ে আলোচনায় এসেছেন পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন। তার অফিসে গিয়ে সাক্ষাৎ করার সময় গণঅধিকার পরিষদের এক নেতাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ারও হুমকিও দেন তিনি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যুব অধিকার পরিষদের নেতারা তার অফিসে গিয়ে সাক্ষাৎ করার সময় এ ঘটনাটি ঘটেছে। পরে সন্ধ্যায় এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তেজিত আ ফ ম আনোয়ার হোসেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার।
ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ সুপারের রুমে যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা সোফায় বসে আছেন। এসময় পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে একজন কথা বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে থাকেন। এসময় অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য রেগে কথা বলতে থাকেন তিনি।
সুনামগঞ্জ গণঅধিকার পরিষদ নেতা তিমন চৌধুরী কালবেলাকে জানান, ২০২৩ সালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে যান তারা। এসময় এসপিকে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় তিনি ক্ষেপে যান। তিনি আমাদের বলেন, আমি আজ চাকরি ছাড়লে কাল ইলেকশন করতে পারবো। বিএনপির সবচেয়ে বড় বড় নেতার সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। এসময় উত্তেজিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতা এমএস মাসুম আহমদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে ঘাড় ধরে বের করে দিতে বলেন তিনি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম সাইদ বলেন, ভিডিওটা ফেসবুকে দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এটা তো জনগণের অফিস, জনগণ সেখানে যাবে। এসপি সাহেবের ক্ষমতা থাকলে সমাধান করে দেবেন, না হলে বুঝিয়ে বলবেন। এসপি সাহেবের আচরণ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকর্তাদের মতো হোক এটা কেউ চায় না। এই আচরণ একজন নাগরিকের জন্য কাম্য নয়।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমি একজন পুলিশ সুপার। আপনারা শুধু আমার রাগটুকু প্রচার করছেন। গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আমার অফিসে এসে খুব বাজে ব্যবহার করেছে। ফলে আমি হয়ত একটু রেগে গেছি। গণঅধিকার পরিষদের নেতারা প্রথমে আমার অফিসে এলে আন্তরিক ব্যবহার করি। কিন্তু তারা সেটার সুযোগ নিয়েছেন। শেষে আবার তারাই সেটা বুঝতে পেরে আমাকে ‘সরি’ বলে গেছেন।