
চালুর পর খুব অল্প সময়েই রাজধানী বাসীর প্রিয় যানবাহনে পরিণত হয়েছে মেট্রোরেল। ঢাকার বুকে স্বস্তির যাত্রা উপহার দিলেও এর অব্যবস্থাপনার পসরা যেনো যাত্রীদের জন্য এখন বিরক্তির কারণ। বিশেষ করে নারীদের বগিতে পুরুষ যাত্রীদের উৎপাতে এখন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
৬ বগির প্রতিটি মেট্রো ট্রেনের সেটে সামনের একটি করে বগি বিশেষভাবে বরাদ্দ নারী যাত্রীদের জন্য। যেখানে পুরুষ যাত্রীদের ওঠা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হলেও মাঝেমধ্যেই দেখা যায় পুরুষ যাত্রীরাও মহিলাদের বগিতে ভ্রমণ করছেন। বিশেষ করে পিক টাইমে অর্থাৎ অফিস শুরু আর ছুটির সময় এ চিত্র বেশি দেখা যায়।
মেট্রোতে উঠতে গেলে বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করে নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই উঠতে হয়। মহিলা বগির সামনে পুলিশের একজন কনস্টেবল সবসময়ই নিরাপত্তায় থাকেন। এছাড়াও স্টেশন চত্বরে রয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এরপরও কিভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করেই পুরুষ যাত্রীরা নারী বগিতে উৎপাত করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে নেটিজেনরা।
সামিয়া মাহবুব নামের মেট্রোর এক নিয়মিত যাত্রী ফেইসবুকে লিখেছেন, আমি প্রতিদিন মেট্রোতে মিরপুর-১০ থেকে মতিঝিলে যাতায়াত করি। মাঝেমধ্যেই দেখতে পাই অফিস শুরু আর শেষের সময় পুরুষ যাত্রীরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করেই নারী বগিতে উঠে যায়। পিক টাইমে এমনিতেই প্রচুর ভিড় থাকে মেট্রোতে, এর ওপর এভাবে নারী বগিতে পুরুষ যাত্রীদের বিচরণ মেনে নেওয়া যায় না। মেট্রো কর্তৃপক্ষ কী নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়? এসব কি তাদের চোখে পড়ে না?
জাফরিন জারা নামের আরেকজন ফেইসবুকে লিখেছেন, তখন ঘড়ির কাঁটায় ৯টার আশেপাশে হবে, আমি উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মেট্রোতে উঠলাম। পল্লবী যেতেই হঠাৎ করে ৭-৮ জনের একটি ছেলেদের দল উঠে পড়লো মহিলা বগিতে। সবাই আমরা রীতিমতো চিৎকার চেঁচামেচি করেও কোন লাভ হলো না। তারা সচিবালয় স্টেশন পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করলো এরপরও সিসি ক্যামেরায় চেক করে বা অন্য কোন ভাবে কোন নিরাপত্তা কর্মী এসে তাদের নামিয়ে দিলো না। এ কি আমাদের মেট্রোর নিরাপত্তা? এমন হলে সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, মেট্রো হারাবে তার জনপ্রিয়তা। কর্তৃপক্ষের বিষয়গুলো দেখা উচিত।
এদিকে মেট্রোতে প্রতিদিনই লক্ষ্য করা যায় উপচে পড়া ভিড়। মহিলা বগিতে জায়গা না পেয়ে অনেক সময় বাধ্য হয়েই পুরুষ বগিতে উঠে যেতে দেখা যায় নারী যাত্রীদের। এর ওপর যদি এভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে নারী বগিতেই পুরুষরা উঠে পড়েন তাহলে তো মেট্রো কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা আর অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।
শীর্ষনিউজ