
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে—এই ১১ মাসে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে তিন হাজার ৬৫৫ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার)।
এ খাতের আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আয় হয়েছিল তিন হাজার ৩১৭ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
দেশের মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৪৯৪ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ডলারে, অর্থাৎ প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৮১ শতাংশ-এর বেশি এসেছে শুধু তৈরি পোশাক খাত থেকে। বাকি অংশ এসেছে অন্যান্য খাত থেকে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের শুরুতে—জুলাই ও আগস্টে উৎপাদন ও রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এতে রপ্তানি আয়ও কমে যায়।
তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ধীরে ধীরে উৎপাদন ও রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানি ও উৎপাদনে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ১১ মাসে নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ; রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৬১ কোটি ৯১ লাখ ডলারে। একই সময়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ৬৯৪ কোটি ১ লাখ ডলারের, যেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
সামগ্রিকভাবে ১১ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৪৯৪ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে মোট রপ্তানি ছিল চার হাজার ৮৫ কোটি ৯৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
হিমায়িত চিংড়িতে আয় হয়েছে ৪১ কোটি এক লাখ ৯০ হাজার ডলার, যা আগের বছরের ৩৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের তুলনায় ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। কৃষিজ পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৯২ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার; প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। হোম টেক্সটাইলে রপ্তানি আয় ৮২ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫ শতাংশ।
পাট ও পাটজাত পণ্যে রপ্তানি কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার ডলারে, যেখানে আগের বছর তা ছিল ৮০ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার; অর্থাৎ প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে।