Image description

সালাহউদ্দিন আহমেদ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। জুলাই সনদ, ঐকমত্য কমিশন, সংস্কার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক এবং সমসাময়িক বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন আমাদের সময়ের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নির্বাহী সম্পাদক এহ্সান মাহমুদ

আমাদের সময় : আমাদের সময়ের পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগত। জুলাই মাস শেষ হতে চলল। আরও আগে প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে বলা হয়েছিল, জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে। ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে আপনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেখানে আপনি বলেছিলেন, জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা না হলে দায়ভার সরকারের। এখনও কেন জুলাই সনদ ঘোষণা হলো না? আপনি বিষয়টিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

সালাহউদ্দিন আহমদ : ধন্যবাদ। শব্দ দুটি জুলাই সনদ না হয়ে যদি জাতীয় সনদ হয়, তাহলে ব্যবহারিক দিকটার সুবিধা হবে। কারণ, আরও একটা জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয় মাঠে আছে। জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়টা হচ্ছে রাজনৈতিক ঐতিহাসিক দলিল। এটা আর্কাইভে থাকবে। ঘোষণাপত্রের যে সারাংশ, সেটাকে আমরা সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে উল্লেখ করতে পারি। এটা আমাদের প্রতিশ্রুত একটা বিষয়। একই সাথে চতুর্থ তফসিলে এই সরকারের বৈধতা দেওয়ার বিষয়টাও আসবে।

কিন্তু এটাকে যদি আমরা জাতীয় সনদ বলি তাহলে? আর জুলাই ঘোষণাপত্র কী?

জুলাই সনদ একটি জাতীয় তালিকা, সেটাতে রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রের শক্তি বা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য, তাদের মতামত আছে। এটা চলতি জুলাইয়ের মধ্যেই প্রণীত হওয়া উচিত। সরকারেরও একটা টার্গেট আছে। তারা ইতিমধ্যে জাতীয় সনদ প্রণীত করতে পারে। কিন্তু আমার কাছে প্রায়ই মনে হয়, শম্ভুক গতিতে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। জুলাইয়ের মধ্যে যদি জুলাই সনদ না হয়, এর দায়-দায়িত্ব বর্তাবে ঐকমত্য কমিশন তথা সরকারের ওপর। তবে আমি আশাবাদী মানুষ। আশা করি এ সময়কালের মধ্যেই আমরা সবাই একটা জায়গায় আসতে পারব। কিছু কিছু পয়েন্টে হয়তো ঐকমত্য হবে না। গণতন্ত্রের প্র্যাকটিসও তাই। সেসব বিষয়ে আমরা নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারব অথবা সেটা প্রত্যাহার করা যাবে। এভাবেই একটা সনদ তৈরি হবে। এরই মধ্যে অনেক মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে যেগুলো সংবিধানে আসবে, বিভিন্ন আইনে আসবে। সামনে আমরা সংস্কারমূলক জনপ্রত্যাশাভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা পাব। সরকার আর রাষ্ট্রব্যবস্থা পৃথক বিষয়। যেহেতু নির্বাচনী ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করা হবে। সংস্কারের জন্য অবশ্যই একটা নির্বাচিত সরকার দরকার। কিন্তু ক্ষমতায় আসীন সেই রাজনৈতিক দলের মধ্যে যদি সেই প্রতিশ্রুতি না থাকে, তাহলে সংস্কারমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠিত হবে না।

আমাদের সময় : ঐকমত্য কমিশনের লাগাতার সংলাপ দেখছি দলগুলো নিয়ে। এ নিয়ে নানা মহলে আলোচনা হচ্ছে যে, এটা শেষ পর্যন্ত সময়ক্ষেপণের দিকে যাচ্ছে কি না? এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?

সালাহউদ্দিন আহমদ : সময়ক্ষেপণ তো কিছুটা হচ্ছেই। সময় বাঁচানো যেত। কন্সট্রাকটিভ আলোচনা হলে আরও আগেই জাতীয় সনদ প্রকাশ করা যেত, যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমি আশাবাদী, কন্সট্রাকটিভ আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান আসবে।

আমাদের সময় : ঐকমত্য কমিশন যে প্রক্রিয়ায় কাজ করছে, তাতে কি আপনার মনে হয় যে, কমিশনের মতামত রাজনৈতিক দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার মতো কিছু আছে?

সালাহউদ্দিন আহমদ : জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন হওয়ার আগে ৬টা বড় কমিশন গঠন হয়েছিল- সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রশাসন সংস্কার। এই ছয়টা সংস্কার কমিশন নিয়ে প্রথম পর্বের আলোচনা হয়। আলোচনার আগে নির্বাচন কমিশনের ভিত্তিতে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি দলের পক্ষ থেকে। তখন স্প্রেডশিটের ভেতরে ১৬৬টি প্রস্তাব কম্পাইল করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। ওটা অনেকটাই বিভ্রান্তিমূলক ছিল। তাই আমরা মনোযোগ দিইনি। আমাদের বিস্তারিত রিপোর্টে সব মিলিয়ে প্রায় সাতশর অধিক সুপারিশ ছিল। সংস্কার কমিশন তার রিপোর্ট প্রণয়নের আগে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে তাদের সংস্কারবিষয়ক কী কী মতামত আছে, তা জানতে চেয়েছিল। আমরা সে সময় আমাদের দলের পক্ষে আমাদের মতামত তুলে ধরেছি- আমরা কী সংস্কার চাই, কী সংশোধন চাই এবং আইনি সংশোধন ও সংবিধান সংশোধন চাই- সব আমরা জমা দিয়েছি। সংস্কার কমিশন এর কতটুকু গ্রহণ করেছে বা করেনি, সেটা তাদের রিপোর্ট প্রণয়নের পর জাতির কাছে উন্মুক্ত হলো। এরপর প্রথম দফায় এলডি হলে বৈঠক হলো। আমরা পরপর তিন দিন ধরে আলোচনা করলাম। এভাবে তারা সকলের সাথে আলোচনা করেছে। এর ওপর ভিত্তি করে তারা আরেকটা রিপোর্ট প্রণয়ন করে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু করে জুনের ২ তারিখ। এ পর্বে তারা সাংবিধানিক বিষয় বেশি আলোচনায় এনেছে। জুডিশিয়াল, দুদকসহ সংবিধানিক ও মৌলিক অনেক বিষয় এনেছে। এখানে আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিছু কিছু বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টও হয়েছে।

এবার আপনার প্রশ্নে আসি। ঐকমত্য কমিশন তথা সরকারের মধ্যে আমরা একটা প্রবণতা লক্ষ্য করলাম। তারা আমাদের মতামত নেওয়ার কথা বলে উল্টো অনেক কিছুই যেন চাপিয়ে দিতে চাইছে। তাদের প্রস্তাবিত যেসব সুপারিশ, তাতে যেন সবাই একমত পোষণ করে, সেজন্য অনেকটা চাপ প্রয়োগ করার মতো বিষয়টা। পরোক্ষভাবে বিষয়টি লক্ষ্য করেছি যে, সরকার এটা চায়, ওটা চায়; জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও এটা-ওটা চায়। কেন চায়? বলছে- এটা নাকি জনগণ চায়!

আমরা বললাম, এ সমস্ত বিষয় যদি জনগণ চায়, আপনারা সেটা বুঝতে পারেন। আপনারা দল নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আপনারা যখন চান, আপনারাই করেন। আমাদের সাথে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। যেহেতু আলোচনায় ডেকেছেন, আমাদেরও মতামত আছে এগুলোর বিষয়ে। আমাদের মতামত হচ্ছে, পার্টি ও অংশীজনের আলোচনায় যদি ঐকমত্যে আসা যায়, সেটা হবে জাতীয় সনদ। কিন্তু জবরদস্তি ইমপ্রেস করার মতো পরিস্থিতি যেন না হয়।

আমাদের সময় : সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের উত্তাপ দেখতে পাচ্ছি দুটি বিষয় নিয়ে। একটি হলো সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়, অন্যটি হচ্ছে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির মূল্যায়ন কী? এই ইস্যুকে কেন সামনে নিয়ে আসা হলো?

সালাহউদ্দিন আহমদ : চমৎকার প্রশ্ন। আমি আগে একটা পরিষ্কার ধারণা দিই। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার টেবিলে নিম্নকক্ষ অর্থাৎ বিদ্যমান জাতীয় সংসদ বিষয়ে পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার কোনো বিষয় নেই। এটা টেবিলেই নেই। পিআর পদ্ধতিটা এজেন্ডার মধ্যে এসেছে উচ্চকক্ষ বিষয়ক আলোচনায়। এখন উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠিত হতে হলে আগে ঐকমত্য হতে হবে। যদি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেক্ষেত্রে তা কত সদস্যবিশিষ্ট হবে, কীভাবে নির্বাচন হবে- এমন প্রশ্নে পিআর কথাটা এসেছে। নিম্নকক্ষে যে দলগুলো ভোট পাবে, ভোটের অনুপাতে একটি দল শতকরা কত ভোট পেল, সেই প্রেক্ষিতে আসন নির্ধারণ হবে। এখানেই তারা পিআরের প্রস্তাব আনছে। আমাদের এখানে মৌলিক প্রশ্ন তিনটি। উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠিত হোক, সেটা জাতি চায় কি না? কারণ, এ ক্ষেত্রে আরেকটা পার্লামেন্ট হবে। আরেকটা পার্লামেন্টের খরচও আছে। আমাদের অর্থনীতি সেটা পোষাতে পারবে কি না। সেই পার্লামেন্টের কিছু আইনকানুনও আছে, সেখানে স্পিকার থেকে শুরু করে সবই থাকবে। সব সংসদ সদস্য সুযোগ-সুবিধা পদমর্যাদা সবই পাবেন। কিন্তু, এর কাজটা কী? সেটা নির্ধারণ করতে হবে। দেশে বিএনপির পক্ষ থেকে উচ্চকক্ষের ধারণাটা আমরাই প্রদান করেছিলাম ৩১ দফায়। উদ্দেশ্য ছিল- সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে, বিশেষ করে বিশিষ্টজন, যারা জাতির বির্নিমাণে অবদান রাখতে পারেন, সেরকম যোগ্যতাসম্পন্ন, মেধাসম্পন্ন, প্রতিভাবান- যাদের অবদানের মাধ্যমে জাতি উপকৃত হবে। তারা জাতি গঠনের কাজে অবদান রাখবেন। এ ধারণা থেকেই আমরা উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি ৩১ দফায় রেখেছি। এখানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিও থাকবেন। কিন্তু উচ্চকক্ষকে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা দিতে হলে বিষয়টি অন্যরকম হয়। কারণ, তারা তো সরাসরি জনপ্রতিনিধি নন। আর একই কাজগুলো করার জন্য নিম্নকক্ষ তো রয়েছেই।

অনেক দল মনে করে, ন্যূনতম এক শতাংশ ভোট পাবে নিম্নকক্ষের ভোটাভুটিতে। এ কারণে তারা পিআর পদ্ধতির উচ্চকক্ষ চায়। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হলো, শুধু একটা প্রতিনিধিত্বের জন্য আরেকটা পার্লামেন্ট বসতে হবে। আগে ঐকমত্যে আসতে হবে, আমরা জাতীয়ভাবে উচ্চকক্ষ চাই কি না। যদি চাই, কত সদস্যবিশিষ্ট চাই এবং সে সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হবেন। উচ্চকক্ষে পাওয়ার ফ্যাংশনই বা কী থাকবে? অথরিটি কি থাকবে, তাদের দায়িত্ব কি থাকবে? এখানে প্রশ্ন আসবে, তাহলে নিম্নকক্ষের কাজ কী হবে? উচ্চকক্ষে আমরা একই জিনিস কেন আনছি? আর উচ্চকক্ষকে যদি সংবিধান সংশোধনের ব্যবস্থা দেওয়া হয়, তাহলে জননির্বাচিত না হয়েও তারা বেশি ক্ষমতাবান হয়ে যাবে। এসব প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই জাগবে।

পৃথিবীর যেসব দেশে উচ্চকক্ষ প্রচলিত, সেগুলোতে দেখা যায়, তাদের অঙ্গরাজ্য বা স্টেট আছে। স্টেট রিপ্রেজেন্ট করার জন্য, এর স্বার্থ রক্ষা করার জন্য স্টেটের প্রতিনিধি হিসেবে তারা কোথাও সিনেটর নাম দিয়ে থাকে। কোথাও হাউস অব লর্ডসের নাম দিয়ে থাকে। তাদের পাওয়ার ফ্যাংশনও সেইভাবে ডিস্ট্রিবিউট করা থাকে, যাতে তারা প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সেজন্য কয়েকটি প্রশ্নের নিষ্পত্তি হতে হবে- আমরা উচ্চকক্ষ চাই কিনা; চাইলে কেন চাই; কত সদস্যবিশিষ্ট চাই; কাদের নিয়ে চাই; এর নির্বাচনপ্রক্রিয়া কেমন হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ছাড়া আমাদের দেশে উচ্চকক্ষের প্রয়োজন আছে কিনা, আমরা রাষ্ট্র হিসেবে আরেকটা পার্লামেন্ট ডিজার্ভ করি কি না- এসব প্রশ্নেরও নিষ্পত্তি হতে হবে।

পিআর পদ্ধতি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা মাঠের বক্তৃতার ভিত্তিতে চলছে। মাঠের বক্তৃতায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন কথা বলে নির্বাচন কমিশনকে চাপে রাখার জন্য, সরকারকে চাপে রাখার জন্য। এটা একটা কৌশল বলা যায়। আবার অনেকে বলছেন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই। এগুলো একটা চাপে রাখার প্রক্রিয়া বলে আমি মনে করি।

আমাদের সময় : দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আবার ফিরে আসছে। এ ব্যবস্থা বাতিলের জন্য যাকে দায়ী করা হয়, সেই সাবেক প্রধান বিচারপতি এরই মধ্যে গ্রেপ্তারও হয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম...

সালাহউদ্দিন আহমদ : তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমরা পনের ষোল বছর সংগ্রাম করেছি। ২০১১ সালে খায়রুল হক যখন চিফ জাস্টিস ছিলেন, তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তিনি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তার সংক্ষিপ্ত রায়ের মধ্যে আরও দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন হতে পারে শব্দটা উল্লেখ হয়েছিল। সেটার পূর্ণাঙ্গ রায় লিখলেন আরও ষোল মাস পরে। তখন এ রায়টা পরিবর্তন হয়ে গেল। এটাকে সুপ্রিমকোর্টের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ওপেন কোর্টে একরকম ঘোষণা, বিস্তারিত রায়ে অন্যরকম।

আমাদের সময় : যারা বিএনপির জোটসঙ্গী নয়, এমন দলগুলো বলছে- বিএনপি সংস্কারবিরোধী। এ বিষয়ে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি কী?

সালাহউদ্দিন আহমদ : বিএনপি সংস্কারবিরোধী তো নয়ই বরং বিএনপিই সংস্কারের প্রধান প্রবক্তা। এ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক দেড় বছর আগে ঢাকায় রাজপথের জনসভায় ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব। ভিজুয়ালি উপস্থিত থেকে তিনি নিজে সেটা উপস্থাপন করেছেন। এখন সেই সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য আমরাও অঙ্গীকারবদ্ধ জাতির কাছে। আমাদের ৩১ দফা বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি।

সংস্কার কমিশনে এমন কোনো বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে না, যা ৩১ দফার বাইরের। আমরা তো মূলত প্রিন্সিপাল ডিক্লেয়ার করেছি, ডিটেলস প্রোগ্রামিং ও প্ল্যানিং চলছে প্রত্যেকটা দফার ওপর।

সুতরাং, আজ যারা প্রচারণা চালাচ্ছে- বিএনপির জন্য সংস্কার হচ্ছে না, বিএনপির জন্য সংস্কার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের আচরণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এ সবই স্রেফ অপপ্রচার বৈ কিছু নয়।

আমাদের সময় : অনেক ধন্যবাদ।

সালাহউদ্দিন আহমদ : আপনাদেরও ধন্যবাদ।