দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহত হওয়ার চার মাস পর হিজবুল্লাহর সাবেক প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর জানাজার আয়োজন করতে যাচ্ছে গোষ্ঠীটি। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতের উপকণ্ঠে ইসরাইলি হামলায় তিনি নিহত হন।
রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। তিনি ৩২ বছর ধরে সংগঠনটির প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।
তার মৃত্যুর চার মাস পর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির বর্তমান প্রধান নাঈম কাসেম বলেন, ‘আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি বৈরুতের উপকণ্ঠে হাসান নাসরুল্লাহকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। ’
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নাঈম কাসেম বলেন, ‘নাসরুল্লাহকে এমন এক সময়ে হত্যা করা হয়েছিল যখন পরিস্থিতি কঠিন ছিল। যে কারণে ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী হাসান নাসরুল্লাহকে গোপন স্থানে অস্থায়ীভাবে দাফন করা হয়। ’
হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, হাসান নাসরুল্লাহ ও আরেক শীর্ষ নেতা হাশেম সাফিউদ্দিনের জন্য জনসাধারণের বিশাল উপস্থিতিতে জানাজা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নাসরুল্লাহকে বৈরুতের উপকণ্ঠে নতুন বিমানবন্দর সড়কে আমাদের পছন্দের একটি স্থানে সমাহিত করা হবে। অন্যদিকে সাফিউদ্দিনকে দক্ষিণ লেবাননের দেইর কানুনে তার নিজ শহরে সমাহিত করা হবে।
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে গত ২৯ অক্টোবর নাঈম কাসেম হিজবুল্লাহর মহাসচিব নির্বাচিত হন। নভেম্বরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়।
চুক্তি অনুযায়ী হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা দক্ষিণ লেবানন ছাড়তে হবে এবং ধীরে ধীরে ইসরাইলি সেনাদেরও লেবানন থেকে প্রত্যাহার করা হবে। শুরুতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময়সীমা নির্ধারণ হলেও গত ২৭ জানুয়ারি নতুন করে যুদ্ধবিরতির সময়সীমা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।