Image description

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সপ্তমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী লুকাশেঙ্কো ৮৬ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশনের বরাতে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বেল্টা জানিয়েছে, নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৫ দশমিক ৭ শতাংশ, যার মধ্যে ৬৯ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন।  অন্য কোনো প্রার্থী ৫ শতাংশ ভোটও পাননি।

এর আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছিল, লুকাশেঙ্কো পাবেন ৮৭ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ নির্বাচনের আগেই জানিয়েছিল, এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। কারণ বেলারুশে স্বাধীন মিডিয়া নিষিদ্ধ এবং নেতৃস্থানীয় বিরোধী ব্যক্তিত্বকে জেলে পাঠানো হয়েছে বা বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক কাজা কালাস শনিবার এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘লুকাশেঙ্কোর কোনো বৈধতা নেই।’

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেন, যারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকামীদের জন্য এটি একটি তিক্ত দিন।

৭০ বছর বয়সী লুকাশেঙ্কো ২০২০ সালে তার শাসনের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ দমন করেন এবং ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের জন্য মস্কোকে বেলারুশের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেন।

বিরোধী ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, লুকাশেঙ্কো গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি করেছেন এবং কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ দমন করেছে, এক হাজারেরও বেশি লোক এখনও কারাগারে রয়েছে। লুকাশেঙ্কোর রাজনৈতিক বিরোধীদের সবাই হয় কারাগারে রয়েছেন নতুবা নির্বাসনে রয়েছেন।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ৯০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ২০২০ সাল থেকে বেলারুশের তিন লাখ নাগরিক দেশ ছেড়েছেন, যাদের বেশিরভাগই পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ায়। বেলারুশ বিদেশ থেকে ভোট বাতিল করায় তারা ভোট দিতে পারেনি।

সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৯৪ সালে বেলারুশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সময় লুকাশেঙ্কোর বয়স ছিল ৩৯ বছর। এরপর থেকে প্রতিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। যদিও এই নির্বাচনগুলো পশ্চিমা সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দ্বারা ‘প্রহসন’ হিসেবেই প্রত্যাখ্যাত হয়ে আসছে।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন লুকাশেঙ্কোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনে আপনার বিজয় স্পষ্টভাবে আপনার উচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃত্ব এবং বেলারুশের রাষ্ট্রনীতির প্রতি জনসাধারণের অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য দেয়।