ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের গ্রেটার নয়ডা পশ্চিমের ঘটনা। সেখানে পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে যাওয়া এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে উত্তর লেখার অভিযোগে এক ছাত্রীকে বকাঝকা করেছিলেন শিক্ষিকা। স্কুলের প্রিন্সিপালের ঘরে নিয়ে গিয়েও তাকে শাসন করা হয়। কিন্তু বকাঝকার পরেই আত্মহত্যা করেছে ওই কিশোরী। পরিবারের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে হেনস্থা করেছে। তাই অপমানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সে।
১৬ বছরের ওই কিশোরী দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গত ২৩ ডিসেম্বর স্কুলে তার একটি পরীক্ষা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। শিক্ষিকদের অভিযোগ, পরীক্ষার সময় ছাত্রী মোবাইল ব্যবহার করছিল এবং তার ফোন থেকে এআই ব্যবহার করে উত্তর লেখার প্রমাণও পাওয়া গেছে। ক্লাসের মধ্যেই ছাত্রীকে বকাঝকা করেছিলেন শিক্ষিকা। তারপর তাকে প্রধানশিক্ষিকার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষার নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সেখানেও দীর্ঘক্ষণ ছাত্রীকে শাসন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর ছাত্রী আত্মহত্যা করে। প্রধানশিক্ষিকার ঘর থেকে বের হওয়ার পর এবং ছাত্রীর মৃত্যুর আগে ঠিক কী কী ঘটেছিল, ছাত্রী কোথায় কোথায় গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষিকারা তার সন্তানকে মানসিকভাবে হেনস্থা করেছেন। সকলের সামনে অপমান করেছেন। সে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তাই আত্মহত্যায় বাধ্য হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং হেনস্থার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কিশোরীর বাবা।
প্রধানশিক্ষিকা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, ছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করার পর বোর্ডের গাইডলাইন মেনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তাকে শাসন করা হয়েছে। সেই শাসন কঠোর হলেও যথাযথ ছিল। কোনও নিয়ম ভাঙা হয়নি। ছাত্রীকে অপমান করে বা হেনস্থা করে কোনও কথা বলা হয়নি। স্কুলের পক্ষ থেকে ঘটনার সময়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে,