লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)-এর কাছে ৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করেছে দুই পক্ষ।
গত সপ্তাহে লিবিয়ায় সফরকালে এ চুক্তি সই করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির।
এই চুক্তির ফলে তেলসমৃদ্ধ উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় সামরিক শক্তির ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চুক্তিতে অস্ত্রের অন্যান্য সরঞ্জামের মধ্যে যুদ্ধবিমানও রয়েছে। যা পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে নির্মাণ করেছে।
প্রসঙ্গত যে, বর্তমানে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে খালিফা হাফতারের এলএনএ। আর পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে ত্রিপোলিভিত্তিক ও জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাওয়া প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবেইবার সরকার।
গত সপ্তাহে বেনগাজি সফরে গিয়ে হাফতারের ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তিনি সাদ্দামকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আপনাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যতটা সম্ভব শক্তিশালী করুন, কারণ সশস্ত্র বাহিনীই দেশের অস্তিত্ব নিশ্চিত করে।'
চুক্তির অনুলিপিতে বলা হয়েছে, হাফতারের দল পাকিস্তান-চীনের তৈরি ১৬টি বহুমুখী যুদ্ধবিমান জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কিনছে। এছাড়া ১২টি সুপার মুশাক বিমানও রয়েছে। যেগুলো ব্যবহৃত হবে পাইলট প্রশিক্ষণের জন্য।
পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তিটি আড়াই বছরের জন্য বিস্তৃত হবে, যার মধ্যে স্থল, সমুদ্র ও আকাশ সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পরবর্তী সময়ে চুক্তিটি ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারেও পৌঁছাতে পারে। যা পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চুক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে।