Image description

সম্মানের সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করায় শ্বাসকষ্টে ভোগা এক রোগীকে মারধর করেছেন ভারতীয় এক চিকিৎসক। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, উত্তর ভারতের শিমলার ইন্দিরা গান্ধী মেডিকেল কলেজের (আইজিএমসি) এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সোমবার ওই রোগীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী অর্জুন পানওয়ার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরে শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়ায় অন্য একটি ওয়ার্ডের বিছানায় শুয়ে পড়েন। পানওয়ারের অভিযোগ, কোনো প্ররোচনা ছাড়াই ওই চিকিৎসক তার সঙ্গে রূঢ় ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন। তিনি এ আচরণের প্রতিবাদ করলে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে মারধর শুরু করেন বলে পানওয়ার জানান। পানওয়ার বলেন, আমি তখন মাত্র ব্রঙ্কোস্কপি করিয়েছি এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অক্সিজেন চাইলে চিকিৎসক আমার ভর্তি সংক্রান্ত অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন, আমি শুধু অনুরোধ করেছিলাম যেন তিনি সম্মানের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। আমি যখন জিজ্ঞেস করি, তিনি কি নিজের পরিবারের সঙ্গেও এভাবে কথা বলেন? তখন তিনি বলেন আমি ‘ব্যক্তিগত’ বিষয়ে কথা বলছি এবং মারধর শুরু করেন। ঘটনাটির ভিডিও দ্রুত অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, চিকিৎসক বারবার ঘুষি মারছেন, আর পানওয়ার আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন। ঘটনার পর হাসপাতালে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। শিমলা আইজিএমসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

আইজিএমসি শিমলার মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডা. রাহুল রাও জানান, কমিটি বিষয়টি তদন্ত করছে এবং শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেবে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি পুলিশ মামলাও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালে ভারতে আরেকটি ঘটনায় অপারেশন থিয়েটারের ভেতর দুই চিকিৎসকের পারস্পরিক গালাগালির ভিডিও ভাইরাল হয়। জরুরি সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ওই বিতণ্ডার ফলে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. অশোক নাইনিব্রাল ও অ্যানেস্থেটিস্ট ডা. মুরারি লাল তাক অচেতন রোগীর ওপর অস্ত্রোপচার চলাকালে একে অপরের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। যোধপুরের উমাইদ হাসপাতালে সংঘটিত ওই ঘটনায় প্রায় এক ডজন চিকিৎসাকর্মী অসহায়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। উমাইদ হাসপাতালের তৎকালীন সুপারিনটেনডেন্ট ডা. রঞ্জনা দেশাই জানান, ওই নারীকে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল এবং দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। পরে গুরুতর জন্মকালীন শ্বাসকষ্টের কারণে তার শিশুর মৃত্যু হয়।