Image description

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীরব থাকবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির এক শীর্ষ নেতা। জম্মু–কাশ্মীরের কিশতওয়ারে হিন্দু সংগঠনগুলোর ডাকা এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন বিজেপি বিধায়ক ও জম্মু–কাশ্মীর বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা সুনীল শর্মা।

সনাতন ধর্ম সভার সভাপতি মহন্ত রাম শরণ দাস আচার্যের নেতৃত্বে আয়োজিত ওই বিক্ষোভে বিজেপি নেতারা অংশ নেন। বাংলাদেশে এক হিন্দু শ্রমিক হত্যাকাণ্ড ও সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সমাবেশে সুনীল শর্মা বলেন, বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি ভারতকে উসকানি দেওয়ার এবং দেশটিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার লক্ষ্যে কয়েকটি রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের অংশ।

কিশতওয়ার শহরের সমাবেশে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো দেশও প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ভয় পায় এবং তিনি বিশেষ করে বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য আশার প্রতীক। শর্মার বক্তব্য অনুযায়ী, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিতে পরাশক্তি হওয়ার পথে এগোচ্ছে বলেই কিছু দেশ ভারতকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।

বিক্ষোভ শেষে অংশগ্রহণকারীদের একটি দল ডেপুটি কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানায়। একই সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়, যাতে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা, সম্পত্তি ও উপাসনালয় রক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করে। কর্মসূচির সময় বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয় এবং সনাতন ধর্ম সভার ডাকা ‘বন্ধ’-এর কারণে কিশতওয়ারে কিছু দোকানপাট বন্ধ ছিল।

সুনীল শর্মা দাবি করেন, বাংলাদেশে নিহত দীপুর একমাত্র ‘অপরাধ’ ছিল তিনি হিন্দু। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে হিন্দু সংখ্যালঘুরা লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে এবং একই ধরনের চ্যালেঞ্জ ভারতের ভেতরেও দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি অবৈধ অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত অভিযোগও তোলেন।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কেন নীরব। শর্মার অভিযোগ, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সেখানে বিক্ষোভের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান হোক বা বাংলাদেশ—এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি নীরব থাকবেন না।

সূত্র: দ্য ইকোনোমিক টাইমস