Image description

ইসরায়েলের হাইফায় অবস্থিত ডেমন কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি নারীরা মারধর ও জোরপূর্বক হিজাব খুলে নেওয়াসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছে প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এসব অভিযোগ তুলে ধরে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, কারা কর্তৃপক্ষ বন্দি নারীদের জোর করে কারাগারের উঠানে নিয়ে গিয়ে মাটিতে বসতে বাধ্য করে, তাদের মাথার হিজাব খুলে নেয় এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায়। এ সময় নারী বন্দিদের বিরুদ্ধে কুকুর ব্যবহার করা হয় এবং স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস জানায়, এ ধরনের নির্যাতনকে তারা সব ধরনের মানবিক আইন ও নীতিমালার “নগ্ন লঙ্ঘন” হিসেবে দেখছে। ডিসেম্বর মাসে চারটি পৃথক ঘটনায় এসব নির্যাতন চালানো হয়েছে, যার ফলে বেশ কয়েকজন নারী বন্দি আহত হন।

সংস্থাটি নারী বন্দিদের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায় ইসরায়েলের ওপর বর্তায় বলে উল্লেখ করে, চলমান দমন-পীড়নের ধারাবাহিকতা তাদের জীবনের জন্য গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করছে বলে সতর্ক করেছে। একই সঙ্গে ড্যামন কারাগারে বন্দী নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান লঙ্ঘন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মানবাধিকার ও মানবিক সংস্থাগুলির প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে নারী ও শিশুসহ ৯ হাজার ৩০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন। তাদের অনেকেই নির্যাতন, অনাহার এবং চিকিৎসা অবহেলার শিকার হচ্ছেন, এর ফলে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজায় চালানো হামলায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। একই সময়ে আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ। পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় অন্তত ১ হাজার ১০২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।