চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমা ফেলেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন ৬ জন এবং আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় তুফাহ’র স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা। সে রকমই একটি স্কুলের দোতলায় একটি বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল গতকাল। যুদ্ধের কারণে আশ্রয়হীন হওয়া কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে। তার মধ্যেই সেখানে বোমা ফেলে ইসরায়েলি বাহিনী।
কী কারণে এই হামলা চালানো হলো, সে সম্পর্কে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি আইডিএফ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালানোর পরের দিন থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু আইডিএফ। টানা দুই বছর ধরে অভিযান চালিয়ে ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিহত, ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে আহত এবং গাজা উপত্যকাকে পুরোপুরি ধ্বংস্তূপ বানানোর পর গত ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা মনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েলি বাহিনী।
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ছিল তিন স্তরের। প্রথম স্তর বা পর্যায়ের মেয়াদকাল ছিল ৬ সপ্তাহ। তার পর যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হওয়ার কথা।
প্রথম স্তরের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে আসছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মার্কিন কর্মকর্তারা হামাস-ইসরায়েল উভয়পক্ষকে বিরতির দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করার তাগাদা দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গাজায় বোমা হামলা চালাল আইডিএফ।
অবশ্য ইসরায়েলি বাহিনী যে যুদ্ধবিরতির মধ্যে এই প্রথম হামলা চালাল— এমন নয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ১০ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে গাজায় দেড় শতাধিকবার ছোটো বড় হামলা চালিয়েছে আইডিএফ।
শীর্ষনিউজ