নির্বাচনকে সামনে রেখে মিয়ানমারে শুরু হয়েছে জান্তা বাহিনীর দমনপীড়ন। নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করলেই নতুন আইনের আওতায় হবে ২০ বছরের জেল কিংবা মৃত্যুদণ্ড। তাই ভোট নিয়ে জনসাধারনের মাঝে ভয় আর অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন ও সাগাইংয়ে হাসপাতাল, স্কুল, চায়ের দোকানে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় শত শত বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। আর এ ঘটনাকে নির্বাচনের আগে জনগণকে ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
মিয়ানমারে বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়িয়ে কেউ ভোট নিয়ে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। এমনকি সব ধরনের বিরোধী রাজনৈতিক কার্যক্রম কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানালেও জান্তা তা প্রকাশ্যে উপেক্ষা করছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, নির্বাচনের আগে দমন-পীড়ন আরও তীব্র হয়েছে। নতুন ইলেকশন প্রোটেকশন আইন অনুযায়ী, নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করলেই ২০ বছর জেল কিংবা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সাংবাদিক, শিল্পী, শিক্ষার্থী এমনকি সাধারণ নাগরিকও গ্রেফতার হচ্ছেন শুধু মত প্রকাশের কারণে। এই আইনের মাধ্যমে ভয় ছড়িয়ে জান্তা সরকার মানুষকে চুপ করিয়ে রাখতে চাইছে বলেও মনে করছে সংস্থাগুলো।
নির্বাচনে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্য ভিন্ন হিসাব কষছে। তারা ভাবছে কতটি আসন পাওয়া যাবে, কে কোন পদে বসতে পারবে। ৫৭টি দলের মধ্যে মাত্র কয়েকটি দল জাতীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, বাকিগুলো ছোট ও জাতিগত দল। বেশিরভাগই জনসমর্থনহীন এবং সামরিক জান্তার রাজনৈতিক রোডম্যাপের অংশ। এনএলডির মতো জনপ্রিয় দল মাঠে না থাকায় সুযোগ দেখছে তারা।
শীর্ষনিউজ