২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। নতুন বছর ২০২৬-কে বরণ করে নিতে বিশ্ব যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই বুলগেরিয়ার কিংবদন্তি জ্যোতিষী বাবা ভাঙ্গার একগুচ্ছ ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। ৯/১১ হামলা, প্রিন্সেস ডায়নার মৃত্যু এবং করোনা মহামারির মতো নির্ভুল পূর্বাভাসের জন্য পরিচিত এই মিস্টিক হিলার ২০২৬ সালকে ইতিহাসের অন্যতম ‘রক্তাক্ত ও সংকটাপূর্ণ’ বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎ গণনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মার্চ মাস থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হতে পারে এক ভয়াবহ অস্থিরতা। তাঁর ইঙ্গিত অনুসারে:
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রণধ্বনি: রাশিয়া, চীন, আমেরিকা এবং ইউরোপের ক্ষমতাধর দেশগুলো একটি সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
দীর্ঘস্থায়ী ধ্বংসযজ্ঞ: এই সংঘাত মার্চ থেকে শুরু হয়ে বছরের শেষ অর্থাৎ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে, যা আধুনিক সভ্যতাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
কেবল যুদ্ধ নয়, ২০২৬ সালে প্রকৃতির চরম বৈরিতার বিষয়েও সতর্ক করেছেন এই জ্যোতিষী। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, পৃথিবীর অন্তত ৭-৮ শতাংশ ভূখণ্ড সরাসরি ধ্বংসের কবলে পড়বে। বড় বড় শহরগুলো বিধ্বস্ত হওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতে এক নজিরবিহীন ধস নামতে পারে।
বছরের শেষার্ধে মহাকাশ বিজ্ঞানে এক আমূল পরিবর্তনের কথা বলেছেন বাবা ভাঙ্গা। নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে একটি বিশাল বহির্বিশ্বের বস্তু বা গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি কেবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বরং মহাবিশ্ব সম্পর্কে মানুষের হাজার বছরের ধারণা বদলে দেবে বলে তিনি উল্লেখ করে গেছেন।
১৯৯৬ সালে প্রয়াত এই অন্ধ মিস্টিক হিলারের ভক্তদের দাবি, তাঁর করা ভবিষ্যদ্বাণীর প্রায় ৮৫-৯০ শতাংশই আজ পর্যন্ত অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে। যদিও আধুনিক বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদীরা এসব ভবিষ্যদ্বাণীকে কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেন, তবুও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের এই যুগে তাঁর কথাগুলো বিশ্বজুড়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।
২০২৬ সাল কি সত্যিই কোনো মহাপ্রলয়ের সাক্ষী হতে যাচ্ছে, নাকি বিজ্ঞান ও মানবিক সচেতনতায় পৃথিবী এই সংকট কাটিয়ে উঠবে—তা সময়ই বলে দেবে।