বিভিন্ন দেশে কট্টর ডানপন্থিদের বিজয় মিছিলে সর্বশেষ যুক্ত হলো চিলি। দেশটির সাধারণ নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন কট্টর ডানপন্থি নেতা জোসে অ্যান্তোনিও ক্যাস্ত। তিন দশকেরও বেশি সময় পর দেশটির সাধারণ জনগণের মধ্যে ডানপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবণতা এটি। খবর বিবিসির।
নিরাপত্তা জোরদার, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ দমনের মতো বাগাড়ম্বর ছিল তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান অঙ্গীকার। এ ছাড়া, তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ নীতি এবং ধর্ষণের শিকারদের ক্ষেত্রেও গর্ভপাতের কট্টর বিরোধী। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম ভাষণে তিনি বলেন, চিলি আবার অপরাধ, উদ্বেগ এবং ভয় থেকে মুক্ত হবে। অপরাধী ও দুষ্কৃতিকারীদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে। আমরা তাঁদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনব এবং কারাবন্দি করব।
১৯৯০ সালে পিনোশের সামরিক শাসনের অবসানের পর থেকে এটি চিলের সবচেয়ে বড় দক্ষিণপন্থি ঝোঁকের নজির। অগাস্তো পিনোশে ১৯৭৩ সালে মার্কিন সমর্থিত অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ১৭ বছর দীর্ঘ সামরিক শাসন কায়েম করেছিলেন, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম এবং মুক্ত-বাজার নীতির জন্য কুখ্যাত। ক্যাস্তের ভাই পিনোশের সময় মন্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর বাবা ছিলেন নাৎজি পার্টির সদস্য। আর পিনোশের প্রতি নিজের ভক্তির কথা প্রকাশ্যের উচ্চারণ করেছেন ক্যাস্ত। নির্বাচনী প্রচারে চিলিকে অসংগঠিত ও অনিরাপদ দেশ হিসেবে তুলে ধরেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির ভক্ত ক্যাস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়ে মনোযোগ দেবেন। পাশাপাশি তিনি অঙ্গীকার করেন, প্রতিবেশী পেরু এবং বলিভিয়ার সঙ্গে চিলি সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কারাগার তৈরি এবং অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপকহারে বিতাড়ন করা হবে।