পেট্রোবাংলার পরিচালক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেশের গ্যাস মজুদের সংবেদনশীল ও গোপন তথ্য বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া এবং বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক মো. তানজির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো অনুসন্ধানের জন্য কমিশন অনুমোদন দিয়েছে এবং ইতিমধ্যে একজন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দুদকে জমা পড়া অভিযোগ অনুযায়ী, পেট্রোবাংলার এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে দেশের গ্যাস মজুদের অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গোপন তথ্য বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করেছেন।
এ ছাড়া রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ ও পুনঃসংযোগ প্রদান, বিধিবহির্ভূতভাবে গ্রাহকের গ্যাস বিল মওকুফ, জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতিতে জালিয়াতি এবং ঠিকাদারদের বিল পরিশোধে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় ১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সোমবার পেট্রোবাংলার পরিচালক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর দাপ্তরিক মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।