Image description

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত এলাকায় আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে গুলিবিনিময়ের ঘটনার পর দুটি দেশই একেঅপরকে ‘বিনা উসকানিতে’ সংঘাত সৃষ্টির দায়ে দোষারোপ করেছে। গত অক্টোবরে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ দুটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি করলেও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের সীমান্তে প্রায়শই প্রাণঘাতি সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। খবর এএফপির।

এদিকে, আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ শুক্রবার শেষরাতের দিকে সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, দুঃখজনকভাবে আজ রাতে পাকিস্তানি পক্ষ আফগানিস্তানের কান্দাহার ও স্পিন বুলডক জেলায় হামলা চালিয়েছে এবং আমাদের ইসলামি সাম্রাজ্যের বাহিনী এই হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ  আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বলেছে, এই সংঘাত শুরু করেছে আফগানিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মোশাররফ জায়িদি সামাজিক মাধ্যম এক্সে বলেন, কিছুক্ষণ আগে সীমান্ত এলাকায় বিনা উসকানিতে হামলা করেছে আফগানিস্তান। এবং তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাপক ও সমুচিত জবাব দিয়েছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী।

আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, গুলিবর্ষণের এই ঘটনা শুরু হয় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এবং তা প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলতে থাকে।

আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান আলি মোহাম্মদ হাকমাল জানিয়েছেন, পাকিস্তানি পক্ষ হালকা ও ভারী কামানের গোলা বর্ষণ করেছে এবং মর্টার হামলায় বেসামরিক লোকজনের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের চামান সীমান্ত এলাকা থেকেও গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।  

তবে সংঘাতের এই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

২০২১ সালে রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবার পর আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতায় আসে তালেবান যোদ্ধারা। এরপর থেকেই আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে তিক্ততার সৃষ্টি হয়। গত অক্টোবরে দুই দেশের মধ্যে সংঘাতে ৭০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয় এবং আহত হয় আরও কয়েকশ মানুষ।