Image description

মিশরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদের সঙ্গে কায়রোতে বৈঠক করেছে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধি দল। অবরুদ্ধ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহতের পর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকটি হয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় সোমবার (২৪ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।

 

হামাস জানিয়েছে, এসব হামলা বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে। রোববার প্রকাশিত বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি জানায়, তারা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ইসরায়েলের ‘অব্যাহত লঙ্ঘন’ যুদ্ধবিরতিকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে তারা। 
হামাসের নির্বাসিত গাজাপ্রধান খালিল আল-হায়্যাকে নিয়ে গঠিত প্রতিনিধি দলটি মধ্যস্থতাকারীদের তত্ত্বাবধানে একটি ‘স্পষ্ট ও সংজ্ঞায়িত প্রক্রিয়া’ তৈরির আহ্বান জানায়, যাতে প্রতিটি লঙ্ঘন নথিভুক্ত করা যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা যায়।

 মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত মাসে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি বজায় রাখতেই এই প্রচেষ্টা।হামাস জানায়, গাজার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে টানেল নেটওয়ার্কে আটকে থাকা সংগঠনের যোদ্ধাদের বিষয়েও মিশরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গ্রুপটির দাবি, যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে শনিবার ইসরায়েলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়। বাড়ি, অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ও একটি গাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। এতে অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে শিশু রয়েছে।

 ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, হামাসের এক যোদ্ধা ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ঢুকে তাদের সেনাদের ওপর হামলা চালানোর পর তারা এসব বিমান হামলা চালিয়েছে। সেনাবাহিনী আরও জানায়, হামলায় হামাসের এক স্থানীয় কমান্ডার নিহত হয়েছে।

 

হামাস এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। গোষ্ঠীটি বলছে, ‘ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং ‘হত্যার অজুহাত’ তৈরির চেষ্টা করছে। সংগঠনটি মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় দাবি করেছে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল অন্তত ৪৯৭ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।