Image description

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মোহাম্মদ বিন সালমানের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সারি থেকে হঠাৎ প্রশ্ন আসে জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে। মুহূর্তেই বদলে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সুর। ক্ষিপ্ত হয়ে জবাব দেন, যুবরাজকে বিব্রত করতেই এমন প্রশ্ন করা হয়েছে।

এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে থেকেই বলেন, ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে মোহাম্মদ বিন সালমান কিছুই জানতেন না। আপনি (প্রশ্নকারী সাংবাদিক) যার সম্পর্কে জানতে চাইছেন তিনি (খাশোগি) খুবই বিতর্কিত ছিলেন। অনেকেই তাকে পছন্দ করতেন না। ফলে এমনটা (হত্যা) ঘটে। 

বিবিসি বলছে, সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে কথাগুলো বলেছেন, তা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খাসোগিকে হত্যা করা হয় ২০১৮ সালে। ২০২১ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নে বলা হয়, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নিজেই এই ঘটনার অনুমতি দিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের উত্তর দেওয়া শেষ হলে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন যুবরাজ মোহাম্মদ। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড তদন্তে তাঁর প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই ঘটনাটি ছিল বেদনাদায়ক। 

ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খাসোগির স্ত্রী হানান বিবিসি নিউজ নাইটকে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবির সঙ্গে যুবরাজের আগের বক্তব্যের মিল নেই। ২০১৯ সালে যুবরাজ নিজেই একটি অনুষ্ঠানে অপরাধের দায় স্বীকার করেছিলেন ও দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এক্স-এ (আগের টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে হানান আরও জানান, ক্ষমা ও হত্যার ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে তিনি যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। 

খাসোগির স্ত্রী হানান বর্তমানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাস করছেন।